Monday, September 28, 2015
ত্বকের যে ১০টি সমস্যা তৈরি হচ্ছে আপনারই ভুলে
ত্বকের যত্ন নেবার সব নিয়ম জানা আছে আপনার। এর পরেও আপনার ত্বক থেকে নিষ্প্রাণ ভাবটা যাচ্ছেই না। আপনি কি জানেন, নিজেরই কিছু ভুলে আপনার ত্বক হারাচ্ছে সৌন্দর্য?
যদি হাসতে হাসতে মরতে না চান তাহলে এই ভিডিও দেইখেন না… (ভিডিও)
নারিকেল তেলের ২৬টি অজানা ব্যবহার (ভিডিও)
আদম আ. কে যে পাহাড়ে নামানো হয়েছিল (ভিডিও)
১) ব্রণের উপদ্রব
নিয়মিতই ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন আপনি। কিন্তু তারপরেও কয়েক সপ্তাহ পরপরই ব্রণ উঠে ভরে যাচ্ছে আপনার ত্বক। হয়তোবা ত্বকের যত্ন নিতে গিয়ে আপনি এমন কিছু করছেন যাতে উল্টো ক্ষতিই হচ্ছে আপনার। বিশেষ করে ত্বক অতিরিক্ত পরিষ্কার করার ফলে এই সমস্যাটা হতে পারে। ত্বকে বেশি ঘষামাজা করতে গেলে ত্বক তেল উৎপাদন আরও বাড়িয়ে দেয়, ফলে ত্বকে ঘন ঘন ব্রণ হতে পারে।
২) বলিরেখা এবং কুঞ্চন
ত্বকে বার্ধক্যের প্রথম লক্ষণ হলো এগুলো। বয়স মধ্য-ত্রিশে পৌঁছালে মুখে বলিরেখা উঁকি দেওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু নিজস্ব কিছু অভ্যাসের কারণে বলিরেখা খুব দ্রুত দেখা দিতে পারে। একটি কারণ হলো রোদে পোড়া। কেউ কেউ জীবনের প্রয়োজনেই সারাদিন রোদে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু তাদের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা খুবই জরুরী। বয়স বিশের কোঠায় গেলেই যদি ত্বক ভাঁজ পড়তে থাকে তবে অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখতে হবে। রাতের বেলায় উপযুক্ত একটি নাইট ক্রিমের ব্যবহারটাও ভালো।
৩) ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ
ত্বকে কোনো কারণ ছাড়াই ছোপ ছোপ দাগ পড়ে থাকলে সেটাও হতে পারে রোদের কারণে। সানস্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস থাকা ভালো। কিন্তু এর পরেও ত্বককে একটু যত্ন করতে হবে। ত্বকের রঙ হালকা করার ভালো কোনো ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন এক্ষেত্রে। এগুলো ছোপ ছোপ দাগ দূর করে থাকে।
৪) ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস
ত্বকে মৃত কোষ এবং তেল জমে এগুলো দেখা দেয়। সপ্তাহে একদিন এক্সফলিয়েট করা এবং দিনে দুইবার মুখ ধোয়ার অভ্যাস থাকলে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ত্বকে অতিরিক্ত মেকআপ করলে ব্ল্যাকহেডসের ভয়াবহ প্রকোপ দেখা দেয় তাই খুব বেশি ভারী মেকআপ করবেন না। কয়েক ধরণের মেকআপ ব্যবহার, নিয়ম না মেনে মেকআপ করলেও এই সমস্যা হতে পারে। অনেকে মেকআপ নিয়েই ব্যায়াম করেন বা ঘুমিয়ে যান। এ থেকেও হতে পারে ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস।
৫) চামড়া ওঠা
সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময়ে অনেকেই একটি ভুল করেন আর তা হলো দিনে একবারই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। অনেকেই জানেন না যে তিন ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন নতুন করে মাখতে হয়। দিন একবার সানস্ক্রিন মেখে সারাদিন ঘোরাঘুরি করলে রোদে পুড়ে চামড়া উঠে যাবার সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
৬) ফাটা ঠোঁট
মেকআপ না করলেও নিদেনপক্ষে লিপস্টিক দিয়ে বের হন সবাই। অথচ ঠোঁটের যত্ন নেবার ক্ষেত্রে কারোই তেমন উৎসাহ দেখা যায় না। ঠোঁটের পাতলা ত্বক খুব সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে ঠোঁটেরও যত্ন নেওয়া উচিৎ নিয়মিত। ব্যবহার করুন এমন কোনো লিপ বাম যা ঠোঁটকে কোমল রাখে এবং ফাটা ঠোঁটকে মেরামত করতে সাহায্য করে।
৭) টি-জোন ট্যানিং
নাক, কপাল ও গালের ওপরের দিকে রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষতি বেশি দেখা যায়। এটাও হয় সানস্ক্রিন ব্যবহারে অবহেলার কারণে। ত্বকে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার জরুরী। এছাড়াও ত্বক থেকে মৃত কোষ সরিয়ে ফেলার জন্য এক্সফলিয়েট করতে হবে নিয়মিত।
৮) রুক্ষ শুষ্ক ত্বক
কী করে বুঝবেন আপনার ত্বক মাত্রাতিরিক্ত শুষ্ক? ত্বকের ওপর দিয়ে নখ টেনে নিন। যদি সাদা দাগ পড়ে তবে বুঝতে হবে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক। এটা হয়ে থাকে ত্বকের জন্য বেশি ক্ষতিকর কিছু ক্লিনজার ব্যবহারের কারণে। এছাড়াও ঘন ঘন গরম পানিতে গোসলের কারণেও ত্বক থেকে হারিয়ে যেতে পারে আর্দ্রতা। যথেষ্ট পানি পান না করলে এবং ঘুম ঠিকমতো না হলেও ত্বকে নিষ্প্রাণ ভাব চলে আসে। এসব অভ্যাস বাদ দিন এবং নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৯) ফাটা গোড়ালি
কোনোরকম ফাটা দাগবিহীন মসৃণ গোড়ালির স্বপ্ন দেখি আমরা সবাই। কিন্তু সারাদিন হাঁটাহাঁটির পর পায়ের যত্ন না নেবার কারণে তা স্বপ্নই থেকে যায়। একে বাস্তবে রূপ দেওয়া কিন্তু আসলে তেমন কঠিন কিছু নয়। ছুটির দিনগুলোতে কিছু সময় বের করে নিন। হালকা গরম পানিতে কিছুটা এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। এরপর ময়েশ্চারাইজার দিয়ে ম্যাসাজ করে নিন পা। নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখা আর সপ্তাহান্তে এই কাজটি করলে গোড়ালি সুন্দর হয়ে উঠবে আপনারও।
১০) কালচে কনুই এবং হাঁটু
হাঁটু এবং কনুইতে কালো দাগ এবং কড়া পড়লে বুঝতে হবে সেখানে আর্দ্রতার অভাব হচ্ছে। এসব জায়গার ত্বকেও এক্সফলিয়েট করাটা জরুরী। আর গোসলের পর একটি ভালো ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন এসব জায়গায়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment