Wednesday, October 7, 2015

বলিরেখা, ব্রণ ও ডার্ক সার্কেল দূর করে রঙ ফর্সা করবে এই অসাধারণ ফেসমাস্ক

> ভাবছেন অনেক দামী দামী পণ্য ব্যবহার করে তৈরি হবে এই ফেসমাস্ক? একদম নয়। বরং এমনই তিনটি সহজ উপাদান দিয়ে এই জাদুকরী ফেসপ্যাকটি তৈরি হবে যা আছে আপনার রান্নাঘরেই। রাসায়নিকযুক্ত দামী দামী ক্রিম বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করলেই যে আপনি সুন্দর থাকবেন, এর কোন গ্যারান্টি নেই। বরং এসব উপাদান সাময়িকভাবে আপনাকে সুন্দর করে তুললেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখায় অনেক বেশী। চিন্তার কিছু নেই, প্রকৃতিতেই লুকিয়ে আছে আমাদের সকল স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য সমস্যার সমাধান। আর প্রকৃতির সেই অফুরন্ত ভাণ্ডার থেকে দারুণ একটি কৌশল নিয়ে এলাম আজ আমরা।
সৌন্দর্য সেটাই, যা ত্বকের ভেতর থেকে প্রস্ফুটিত হয়। দামী ক্রিম, স্কিন ট্রিটমেন্ট বা ভারী মেকআপ ছাড়াই ধরে রাখতে চান বয়স? তাহলে এই ফিচারটি আপনার জন্যই। এই ফেসমাস্ক নিয়মিত ব্যবহারে কেবল আপনার ত্বকের বলিরেখাই দূর হবে না, কমবে ব্রণের সমস্যা, দূর হবে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল। এছাড়াও যাদের ত্বক তৈলাক্ত, নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তেলতেলে ভাবটাও একেবারেই দূরীভূত হবে। এছাড়াও উজ্জ্বল হবে আপনার ত্বকের রঙও। তাহলে আর দেরি কেন, চলুন শিখে নিই ফেসপ্যাকটি তৈরি ও ব্যবহার করার কৌশল।

যা যা লাগবে

১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো (প্যাকেটের গুঁড়ো ব্যবহার না করে ঘরে হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো তৈরি করে নিন)
১ চা চামচ টক দই (এক্ষেত্রেও ঘরে পাতা দই হলে ভালো)
১ চা চামচ খাঁটি মধু

প্রণালি ও ব্যবহারবিধি

  • -হলুদ গুঁড়ো ও টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। মেশানো হয়ে গেলে মধু যোগ করুন।
  • -মিশ্রণটি মুখে ও গলায় সমানভাবে মেখে নিন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • -৩০ মিনিট পর উষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
  • -ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার নিয়মিত ব্যবহার করুন।
  • -এই মাস্কটি কখনো আগে তৈরি করে রাখবেন না। যখন ব্যবহার করবেন, ঠিক তখনই তৈরি করুন।
হলুদে আছে স্বাস্থ্য ও ত্বকের সুরক্ষায় অসাধারণ সব গুণাবলী। এর antimicrobial, astringent, antioxidant, moisturizing ও anti-aging গুণাবলী যখন মধু ও টক দইয়ের মত অনন্য উপাদানের সাথে মিলে যায়, তখন তা আপনার ত্বকের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল প্রদান করে। বলিরেখা তো দূর হয়ই, সাথে আপনার ত্বকের অন্যান্য অনেক সমস্যা দূর হয়ে ত্বক হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল। একই সাথে ত্বকের দাগছোপ দূর হয়ে রঙটাও ফর্সা হয়ে ওঠে।

মাঝরাতে ক্ষুধা পেলে ভুলেও খাবেন না এই ৬ ধরণের খাবার

বেশি রাত করে যারা জেগে থাকেন তাদের সবারই মাঝরাতের দিকে পেট চোঁ চোঁ করে। এ সময়ে অবশ্যই যা ইচ্ছে তাই খাওয়া যাবে না। দেখে নিন মাঝরাতে এড়িয়ে চলতে হবে কী কী খাবার।
মাঝরাতে যতো কমই খান না কেন, তা ওজন বাড়াতে পারে, হজমে সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। যারা ডায়েটে আছেন বিশেষ করে তারা মাঝরাতে খাওয়ার ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকুন।

১) তেলতেলে, চর্বিযুক্ত খাবার

এমন ভারী ধরণের খাবার খেলে সাথে সাথেই আপনার ঘুম ঘুম পেতে থাকবে, শরীরটা ক্লান্ত লাগবে। রাত জেগে থাকার ইচ্ছে থাকলেও জাগতে পারবেন না। আর ঘুমিয়ে পড়লেও পরের দিন সকালে নিজেকে ক্লান্ত লাগবে। এ কারণে ফাস্ট ফুড, আইসক্রিম বা অনেক পনির দেওয়া খাবার এ সময়ে খাবেন না।

২) শর্করায় ভরপুর বা মিষ্টি খাবার

ঘুমাতে যাবার আগে একটু মিষ্টিমুখ করতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু চকলেটের যে টুকরোটা আপনি মুখে পুরছেন তা আপনার ব্লাড সুগার দ্রুত বাড়িয়ে আবার কমিয়ে দিতে পারে। এ কারণে আপনার ঘুম নষ্ট হয়ে যাবে সহজেই। কেক, কুকিজ, মিষ্টি, চকলেট, ক্র্যাকার এগুলো না খেয়ে বরং একটা আপেলে কামড় বসাতে পারেন।

৩) রেড মিট

ফ্যাটি খাবারের মতো রেড মিট খেলেও পেট ভারী হয়ে থাকবে। ঘুমানোটা কষ্ট হয়ে যাবে। শুধু তাই না, বেশি করে মুরগীর মাংস খেলেও কিন্তু আপনার একই অবস্থা হবে। একেবারে প্রোটিন খাওয়া বাদ দিতে হবে না তাই বলে। প্রোটিন খেতে চাইলে অল্প করে খান। খেতে পারেন এক কাপ টক দই।

৪) ঝাল খাবার

ঝাল খাবার অনেক ক্ষেত্রেই শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু মাঝরাতে ঝালের থেকে দুরেই থাকুন। কারণ এগুলো পেট খারাপ করতে পারে। বদহজমে ঘুমই হবে না আপনার।

৫) ক্যাফেইন

চা, কফি এমনকি চকলেটও এ সময়ে না খাওয়াই ভালো। কারও এগুলোতে থাকা ক্যাফেইন আপনার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দেবে। ফলে পরের দিন আপনার শরীর-মন একেবারেই অবসন্ন হয়ে থাকবে।

৬) ভরপেট ভোজ

মাঝরাত মোটেই ভরপেট খাওয়ার সময় নয়। যাই খান না কেন অল্প করে খাবেন। যদি ঘুমাতে চান তাহলে খেতে পারেন এমন কিছু খাবার যা ঘুম আনতে সহায়ক, যেমন দুধ।

মুখের বড় বড় রোমকূপ দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে

আমরা ত্বকের বিশেষ করে মুখের ত্বকের পরিচর্যা করে যত ভালো করার চেষ্টাই করিনা কেন যদি মুখের রোমকূপ বড় থাকে তাহলে তা মুখের খুঁতকে আরো স্পষ্ট করে তোলে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এবং যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের মুখের রোমকূপ গুলো বড় হতে থাকে। ত্বকের এই বড় রোমকূপ সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে। তবে বাণিজ্যিক উপায়ের চেয়ে ঘরোয়া সমাধান গুলো সাধারণত গুণগত মান ও খরচের দিক থেকে ভালো হয়ে থাকে। এই সমস্যা নারী ও পুরুষ উভয়েরই হতে পারে।
এখানে কিছু প্রাকৃতিক সমাধানের কথা উল্লেখ করা হলো-

মেয়োনেজ

মেয়োনেজ এর মাঝে থাকা ভিনেগার এবং ডিম ত্বকের রোমকূপের আকৃতি সংকোচন করতে এবং ত্বককে টান টান করতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ মেয়োনেজ মুখে মেখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন মুখ। নিয়মিত করলে ভালো ফলাফল পাবেন। তবে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের জন্য এটা উপযুক্ত নয়।

কাঠ বাদামের মাস্ক

১/৩ কাপ কাঠবাদাম নিয়ে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে তাতে পানি মিশিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। তারপর সেটা নাক থেকে লাগানো শুরু করে যেখানে যেখানে দৃশ্যমান রোমকূপ আছে সেখানে লাগিয়ে রেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। ভাল ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

মাঠা

ত্বকের যত্নে একটি পুরাতন উপকরণ হচ্ছে মাঠা যা খোলা রোমকূপের আকৃতি ছোট করতে সাহায্য করে। রাতে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে একটি তুলা্র বলে মাঠা ভিজিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। রাতপর ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

লেবুর রস

ত্বকের জন্য লেবুর রসের উপকারিতার কথা সবাই জানি। সামান্য লেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে তাতে তুলার বল ভিজিয়ে মুখে মেখে আধা ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন চোখে না লাগে।

মুলতানি মাটি

সপ্তাহে একদিন মুলতানি মাটির মাস্ক মুখে লাগালে রোমকূপ থেকে তেল ও ময়লা বের হয়ে তা পরিষ্কার হবে এবং রোমকূপের আকৃতি ছোট করে অতিরিক্ত তেল শোষণ করে।

শশা, আপেল, ডিম এবং দুধের মাস্ক

একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন যতক্ষন না ফোম হয়। এবার এর সাথে যোগ করুন শশা এবং আপেলের টুকরো এবং আবার ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন এবং মুখে মেখে ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিন মুখ।

পাকা পেঁপে

মুখ ভালো করে ধুয়ে এক টুকরো পেঁপে ছিলে নিয়ে মুখে আলতো ভাবে ঘষুন। এভাবে ১৫ মিনিট রাখার পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ব্যবহারের ফলে মুখে ব্রন থাকলেও তার পরিমান কমবে।

ফেসিয়াল ক্রিম ও লেবুর রস

একটি পাত্রে ফেসিয়াল ক্রিমের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মাস্কের মত মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

দই, মধু, আপেল ও লেবুর রস

এই মাস্ক রাতে শোবার আগে ব্যবহার করার জন্য উত্তম। মিহি কুচি আপেলের সাথে ১ টেবিল চামচ দই, এক টেবিল চামচ মধু এবং কিছুটা লেবুর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে যতটুকু সম্ভব মসৃণ করে পেস্ট বানাতে হবে। তারপর মিশ্রণটি ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি মুখের ত্বককে মসৃণও করতে সাহায্য করে।
- See more at: http://www.priyo.com/2015/Oct/07/172811-.html#sthash.JNZbkglS.dpuf

যেভাবে আপনার বিছানার চাদর আপনাকে অসুস্থ করে ফেলছে!

সারাদিনের কাজের পরে বাসায় এসে বিছানায় ডুব দিতে ইচ্ছে করে সবারই। কিন্তু ওই আরামদায়ক বিছানাই যে আপনার কতোবড় ক্ষতি করতে পারে তা কী জানেন?
আপনার বিছানা কী করে ক্ষতি করবে? বিছানার চাদর দেখতে যতই নিরীহ মন হক না কেন, এর ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে রয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন জীবাণু। এগুলো সহজেই আপনাকে অসুস্থ করে দিতে সক্ষম।
বিছানার তোশক, চাদর, কাঁথা এবং বালিশের মাঝে জমে থাকে মানুষের দেহের কোষ। এটা শুনে অনেকেই অবাক হবেন। কিন্তু একজন মানুষের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ত্বকের কোষ ঝরে পড়ে। এসব কোষ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে ডাস্ট মাইট নামের এক ধরণের অতি ক্ষুদ্র পোকা। এসব পোকা একজন মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণ হতে পারে। এর পাশাপাশি তৈরি করতে পারে বেশ কয়েক ধরণের অ্যালার্জি।  
ডাস্ট মাইট নিজেরা আপনার তেমন ক্ষতি করবে না বটে, কিন্তু তাদের বর্জ্য এবং দেহাবশেষ অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে। হতে পারে একজিমা, কাশি, চোখ চুলকানো। যাদের অ্যাজমা আছে তাদের অসুস্থ করে দিতে পারে সহজেই। ঘুমের সমস্যা যে হতে পারে তা বলাই বাহুল্য।
ডাস্ট মাইট ছাড়াও আরও খারাপ খবর আছে। বিছানার চাদরে থাকতে পারে জীবাণু যা ফ্লু থেকে ফুড পয়জনিং পর্যন্ত বেশ কিছু অসুস্থতার সৃষ্টি করতে পারে। আপনি নিজের অজান্তেই এমন “সিক বেড সিনড্রোম” এ ভুগতে পারেন।
অসুস্থ হয়ে গেলে আমরা অনেকটা সময় বিছানায় কাটাই। এ রোগের জীবাণু অনেকদিন ধরে রয়ে যেতে পারে বিছানায়।
মানুষ সপ্তাহে ত্রিশ গ্রামের মতো ত্বকের মরা কোষ ঝরায়। যেহেতু আমরা অনেকটা সময় বিছানায় থাকি তাই এই ত্রিশ গ্রামের অনেকটাই বিছানায় থেকে যায়। তারমানে ডাস্ট মাইটের খাবারের ব্যবস্থা হয়ে গেলো। শুধু তাই না, আমাদের শরীরের উষ্ণতা এবং আর্দ্রতায় ডাস্ট মাইটের জীবনযাপনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয় বিছানায়। এ কারণে একটি বিছানায় ১০ মিলিয়নের মতো ডাস্ট মাইট থাকতে পারে।
বেশীরভাগ সময়েই আমরা দিনের বেলায় বাসা থেকে বের হবার সময়ে বেডরুমের দরজা জানালা লক করে যাই। ফলে বিছানার আর্দ্রতা সেখানেই থেকে যায়। ফলে ডাস্ট মাইটের জীবন আরও সহজ হয়ে যায়। দুই বছরের পুরনো একটা বালিশের ১০ শতাংশ জুড়েই থাকতে পারে ডাস্ট মাইট আর তাদের বর্জ্য। ভেবে দেখুন তো, এখনো কি বিছানাটাকে আরামদায়ক মনে হচ্ছে? ইচ্ছে হচ্ছে অফিস থেকে ফিরেই ঝাঁপিয়ে পড়তে?
চিন্তা করবেন না। এই ভয়াবহ সমস্যারও আছে সমাধান-
  • প্রতি সপ্তাহে বিছানার চাদর পরিবর্তন করুন
  • বিছানাপত্র ধুতে হবে অন্য কাপড় থেকে আলাদা করে
  • ডেটল বা স্যাভলন জাতীয় জীবাণুনাশক ব্যবহার করে ধুতে হবে বিছানার চাদর
  • গরম পানিতেও ধুতে পারেন চাদর
  • ঘুম থেকে ওঠার পর বিছানা যেন আলোবাতাস পায় এমন ব্যবস্থা করুন
  • বালিশ এবং তোশক নিয়মিত রোদে দেওয়া গেলে খুবই ভালো
  • সম্ভব হলে তোশক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন নিয়মিত
  • বিছানায় অতিরিক্ত কুশন বা তুলার পুতুল রাখবেন না
  • সুতির তৈরি বিছানার চাদর ব্যবহারের চেষ্টা করুন
-

অতুলনীয় রসুনের অন্যরকম একটি রেসিপি এবং কিছু অজানা উপকারিতা

 রসুন নিশ্চিত ভাবেই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার এবং জনপ্রিয় ভেষজ ঔষধ হিসেবেও এটি পরিচিত। জেনে অবাক হবেন যে রসুনের উপর অনেক বইও লেখা হয়েছে। এটি এমন একটি মশলা যা আমাদের প্রতিদিনের রান্না ও খাবারের জন্য প্রয়োজন। এই অসাধারণ ও অতুলনীয় এই ভেষজ উদ্ভিদটি কিছু গুণাগুণ এবং রেসিপি তুলে ধরছি।
অনেক কিছুর নিরাময়ে রসুনের গুণাগুণ আমাদের ধারনার বাইরে। এটি কাঁচা, রান্না করে বা অনেক সময় গুঁড়ো বা পেস্ট করে ব্যবহার করা হয়। রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি ভেষজ ঔষধ হিসেবে অনেক সময় বড়দের জন্য দিনে ১/২ কোয়া ১/২ বার এবং তুলনামূলকভাবে ছোটদের জন্য আর একটু কম পরিমান সুপারিশ করা হয়ে থাকে।
এখানে রসুনের কিছু রোগ নিরাময়ক কিছু গুনাগুনের কথা উল্লেখ করা হলো যা হয়তো অনেকেরই অজানা-
  • -   অনেক গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে যে রসুন গর্ভস্থ শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় খাবারের সাথে পরিমিত পরিমানে কিছু রসুন খান। তবে গর্ভাবস্থার শেষ দিকে রসুন খাবেন না।
  • -   রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে বুকের প্রদাহ, কাশি ও শ্বাস কষ্ট ভালো করতে সাহায্য করে।
  • -   রসুনে অনেক বেশি পরিমান আয়োডিন থাকে ফলে যাদের হরমোনের সমস্যা থাকে তাদের জন্য খুবই কার্যকরী। হরমোনের সমস্যার চিকিৎসায় রসুন বেশ উপকারী ভূমিকা রাখে।
  • -   হৃদরোগের চিকিৎসায় এবং এর ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত রসুন খেতে পারেন। দেহে রসুনের প্রভাব এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া রক্তনালীতে যে তলানি জমে তা এই বিস্ময়কর মশলাটি কমাতে পারে।
  • -   ছত্রাকের সংক্রমণ এবং ভেজাইনাল ইনফেকশন খুব সহজেই নিরাময় করতে পারে এই রসুন।
  • -   রসুনে Allicin নামক একটি উপাদান থাকে যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক নামে পরিচিত। প্রচলিত আছে যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈন্যদের ক্ষত সারাতে রসুন ব্যবহার করা হতো।
  • -   রসুন ভিটামিন সি এবং বি৬ এর চমৎকার একটি উৎস যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে এবং মুড ভাল রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।
  • -   এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। রসুনে diallyl sulphide এর উপস্থিতির কারনে এর রয়েছে অ্যান্টিক্যান্সার গুনাগুন। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা যায় যে এই diallyl sulphide ক্যান্সার সেলকে রূপান্তরে বাধাদেয়।
  • -   রসুনের মাঝে থাকা কিছু যৌগ যেমন, diallyl sulphide ও thiacremonone এর কারণে রসুনের রয়েছে অ্যান্টিআর্থ্রাইটিক গুনাগুন। এই যৌগগুলোর কারনে রসুন অ্যালার্জি জনিত শ্বাসনালীর প্রদাহ নিরাময় করতে সহায়তা করে। কাঁচা রসুনের রস ব্যবহারের ফলে পোকার কামড় বা র‍্যাশের কারনে যে চুলকোনির সৃষ্টি হয় সেটি কমিয়ে দেয়।

রসুনের একটি অন্যরকম রেসিপি

রসুন আমাদের প্রতিদিনের বেশির ভাগ খাবারেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রসুনের একটি অন্য ধরনের রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করব-

রোস্টেড গার্লিক

  • -   বড় আকারের কয়েকটা রসুন ধুয়ে নিয়ে উপরের বাড়তি কোনো খোসা থাকলে সেটি ফেলে দিয়ে আস্ত রেখেই নিচের দিকের ১/৪ বা ১/২ ইঞ্চি কেটে ফেলুন।
  • -   একটি বেকিং প্যানের কাটা দিকটা উপরের দিকে রাখুন। সব চাইতে ভাল হয় যদি মাফিন প্যান নেয়া হয়। তারপর প্রতিটি রসুনে এক চামচ করে অলিভ অয়েল দিয়ে ফয়েল পেপার দিয়ে মুড়িয়ে নিয়ে প্রিহিট করা ওভেনে ২০০ ডিগ্রীতে ৩০-৩৫ মিনিট বা নরম না হয়া পর্যন্ত বেক করুন।
  • -   ঠাণ্ডা হওয়ার পর কোয়া থেকে রসুন গুলোকে ছুড়ি বা কাটা চামচ দিয়ে চাপ দিয়ে বের করে নিন।
  • - এবার এই রোস্টেড গার্লিক চাইলে এমনিতেও খেতে পারেন, পাউরুটি দিয়ে খেতে পারেন, চটকে নিয়ে কোনো রান্নায় দিতে পারেন, স্যুপে, বেক করা আলুতে মিশিয়ে খেতে পারেন বা পাস্তা সসে মেশাতে পারেন।

বিয়ের পর যৌন জীবনে সুখ পেতে গোপন ৭টি সূত্র…

সদ্য বিবাহ করেছেন? এখন অনেক কিছুই রক্ষা করে চলতে হবে আপনাকে। প্রিয় সঙ্গিনীতে খুশি এবং সুখি রাখতে মেনে চলতে হবে অনেক নিয়মই। অন্যান্য সকল কাজে খূশি রাখার পাশাপাশি যৌন জীবনেও প্রিয়তমাকেরাখতে হবে চড়ম সুখি। কিন্তু এমন কোন গোপন টিপস আছে কি, যাতে বিয়ের পরের যৌন জীবনে অনেক বেশি সুখি হওয়া যায়?
প্রকৃতপক্ষে যৌন জীবনে খুশি হওয়ার ব্যাপারটা পুরোটাই আসলে সেই দুজন মানুষের ওপরে নির্ভর করে, যারা যৌন সম্পর্ক করছেন। তবে হ্যাঁ, বিয়ের পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একঘেয়ে হয়ে যায় যৌন জীবন। কেননা মানুষ মাত্রই একটি জিনিসে বেশিক্ষণ আগ্রহ ধরে রাখতে পারে না। তাই আপনারা যদি পরস্পরের সেই আগ্রহটা জিইয়ে রাখতে পারেন, তবে যৌন জীবনে আনন্দ থাকবে বহুদিন। এছাড়াও আছে কিছু টিপস, জেনে নিন ৭টি কৌশল যা আপনার কাজে আসবে।

১) যৌনতাকে কখনো একঘেয়ে করে ফেলবেন না। নিজের দাম ধরে রাখুন, সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে রোমান্সে মেটে উঠুন। রোমান্স ছাড়া সেক্স দ্রুত আবেদন হারায়।
২) নিজেকে সর্বদা সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে রাখুন।
৩) নানান রকমের যৌন অ্যাডভেঞ্চার করুন, নতুন পজিশন চেষ্টা করুন। সেক্স টয় নিয়ে খেলায় মেতে উঠুন।
৪) নিজের প্রাক্তন প্রেমিক প্রেমিকা বা অন্য কারো সাথে স্বামী বা স্ত্রীকে খুশি করবেন না।
৫) বিছানায় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন। তাঁকে সঙ্গী বা সঙ্গিনী বুঝতে পারবেন না তিনি আপনাকে কতটা তীব্র সুখ দিচ্ছেন। এতে সম্পর্ক মজবুত হয়ে ওঠে।
৬) শরীরের যত্ন নিন। শরীরকে যত সুন্দর রাখবেন, বিয়ের পর যৌনতা তত আবেদনময় হবে।
৭) এক সঙ্গীতে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন, যৌন জীবনে সুখ আসবে।

সহজ ও ঘরোয়া ৫ টি পদ্ধতিতে প্রতিকার করুন এনাল ফিশার

এনাল ফিশার খুবই যন্ত্রণাদায়ক ও অস্বস্তিকর সমস্যা। সাধারণত ছোট বাচ্চাদের এনাল ফিশার হয়ে থাকে তবে যে কোন বয়সের যে কোন মানুষেরই এটা হতে পারে। পায়ু পথের চারপাশে ফাটল সৃষ্টি হওয়াই হচ্ছে এনাল ফিশার। যারা দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যায় ভুগছেন তাদের এনাল ফিশার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এনাল ফিশার হলে মলত্যাগের সময় ও মলত্যাগের পরে অত্যন্ত ব্যাথা হয়। এছাড়াও মলত্যাগের পর রক্তপাত হয় এবং চুলকানি হয়। ঔষধ সেবন করে সাময়িক ভাবে এনাল ফিশার ভালো করা যায় তবে পুরোপুরি ভালো হয় না। তাই অনেক সময় ডাক্তাররা অপারেশন করানোর পরামর্শ দেন। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি আছে যা অনুসরণ করে এনাল ফিশার দূর করা সম্ভব।

১। আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খান:

প্রচুর আঁশ আছে এমন ফলমূল যেমন - আপেল, আনারস, কমলা, আঙ্গুর, পেঁপে, নাশপাতি ইত্যাদি এবং শাকসবজি যেমন - সবুজ শাঁক, গাজর, বাধাকপি, মটরশুটি, কুমড়া, ডাল, টমেটো ইত্যাদি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে ফলে এনাল ফিশার ও ভাল হবে।

২। প্রচুর পানি পান করুন:

দৈনিক ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। পানি পরিপাকতন্ত্রকে পরিস্কার করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পানি শরীরে উৎপন্ন টক্সিন শরীর থেকে বের করে দিয়ে শরীরকে বিষ মুক্ত করে। খাওয়ার সময় পানি পান করা ঠিক নয় কারণ পানি পাচক রসকে দ্রবীভূত করে দেয়, তাই খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা ১ ঘণ্টা পরে পানি পান করুন।

৩। নিয়মিত ব্যায়াম করুন:

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ব্যায়াম করা দরকার। যাদের এনাল ফিশার আছে তাঁরা দৈনিক ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন যেমন - হাঁটা ,ব্যাডমিন্টন খেলা, ঘরের কাজ করা, বাগান করা ইত্তাদি।

৪। মলদ্বারে পেট্রোলিয়াম জেলি বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন:

যাদের এনাল ফিশার আছে তারা  মলদ্বার এ পেট্রোলিয়াম জেলি বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে মলত্যাগের সময় ব্যথা হবে না।

৫। গরম পানির সেঁক নেওয়া:

এনাল ফিশার এর রোগীগণ মলত্যাগের পর বাথটবে বা বড় প্লাস্টিকের বোলে কুসুম গরম পানি নিয়ে তাঁর মধ্যে ১৫ মিনিট কোমর পর্যন্ত ডুবিয়ে বসে থাকুন, এতে ব্যথা কমে যাবে।

সতর্কতা:

এনাল ফিশার এর রোগীদের চিনি ও ময়দার তৈরি খাবার যেমন- বিস্কুট, কেক, পেস্ট্রি না খাওয়াই উচিত। কারণ চিনি ভিটামিন বি কে নষ্ট করে দেয় ফলে অন্ত্র ঠিকমত কাজ করতে পারে না এবং হজম এ সমস্যা সৃষ্টি করে।

m

(প্রিয়.কম) এনাল ফিশার খুবই যন্ত্রণাদায়ক ও অস্বস্তিকর সমস্যা। সাধারণত ছোট বাচ্চাদের এনাল ফিশার হয়ে থাকে তবে যে কোন বয়সের যে কোন মানুষেরই এটা হতে পারে। পায়ু পথের চারপাশে ফাটল সৃষ্টি হওয়াই হচ্ছে এনাল ফিশার। যারা দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যায় ভুগছেন তাদের এনাল ফিশার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এনাল ফিশার হলে মলত্যাগের সময় ও মলত্যাগের পরে অত্যন্ত ব্যাথা হয়। এছাড়াও মলত্যাগের পর রক্তপাত হয় এবং চুলকানি হয়। ঔষধ সেবন করে সাময়িক ভাবে এনাল ফিশার ভালো করা যায় তবে পুরোপুরি ভালো হয় না। তাই অনেক সময় ডাক্তাররা অপারেশন করানোর পরামর্শ দেন। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি আছে যা অনুসরণ করে এনাল ফিশার দূর করা সম্ভব।

১। আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খান:

প্রচুর আঁশ আছে এমন ফলমূল যেমন - আপেল, আনারস, কমলা, আঙ্গুর, পেঁপে, নাশপাতি ইত্যাদি এবং শাকসবজি যেমন - সবুজ শাঁক, গাজর, বাধাকপি, মটরশুটি, কুমড়া, ডাল, টমেটো ইত্যাদি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে ফলে এনাল ফিশার ও ভাল হবে।

২। প্রচুর পানি পান করুন:

দৈনিক ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। পানি পরিপাকতন্ত্রকে পরিস্কার করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পানি শরীরে উৎপন্ন টক্সিন শরীর থেকে বের করে দিয়ে শরীরকে বিষ মুক্ত করে। খাওয়ার সময় পানি পান করা ঠিক নয় কারণ পানি পাচক রসকে দ্রবীভূত করে দেয়, তাই খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা ১ ঘণ্টা পরে পানি পান করুন।

৩। নিয়মিত ব্যায়াম করুন:

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ব্যায়াম করা দরকার। যাদের এনাল ফিশার আছে তাঁরা দৈনিক ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন যেমন - হাঁটা ,ব্যাডমিন্টন খেলা, ঘরের কাজ করা, বাগান করা ইত্তাদি।

৪। মলদ্বারে পেট্রোলিয়াম জেলি বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন:

যাদের এনাল ফিশার আছে তারা  মলদ্বার এ পেট্রোলিয়াম জেলি বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে মলত্যাগের সময় ব্যথা হবে না।

৫। গরম পানির সেঁক নেওয়া:

এনাল ফিশার এর রোগীগণ মলত্যাগের পর বাথটবে বা বড় প্লাস্টিকের বোলে কুসুম গরম পানি নিয়ে তাঁর মধ্যে ১৫ মিনিট কোমর পর্যন্ত ডুবিয়ে বসে থাকুন, এতে ব্যথা কমে যাবে।

সতর্কতা:

এনাল ফিশার এর রোগীদের চিনি ও ময়দার তৈরি খাবার যেমন- বিস্কুট, কেক, পেস্ট্রি না খাওয়াই উচিত। কারণ চিনি ভিটামিন বি কে নষ্ট করে দেয় ফলে অন্ত্র ঠিকমত কাজ করতে পারে না এবং হজম এ সমস্যা সৃষ্টি করে।
- See more at: http://www.priyo.com/2015/Oct/08/173001-.html#sthash.G9VBOxQV.dpuf

Friday, October 2, 2015

চোখ সুস্থ থাকবে প্রতিদিনের তিনটি সহজ ব্যায়ামে


চোখ সুস্থ থাকবে প্রতিদিনের তিনটি সহজ ব্যায়ামে
চোখ শরীরের অন্যতম স্পর্শকাতর অঙ্গ৷ এই অঙ্গে এক কণা ধূলো নিয়ে আসতে পারে অনেক অস্বস্তি৷ অথচ এই চোখের প্রতি আমরা কতটুকুই বা নজর দিই? শরীরের যত্ন নিতে ব্যায়াম করেন অনেকেই কিন্তু চোখের ব্যায়াম করেন খুব কম সংখ্যক মানুষই৷
আজকের দিনে অধিকাংশ মানুষেরই কাজ কম্পিউটার বা ল্যপটপে৷ তাতে চোখের ক্ষতি হয় সেকথা কারও অজানা নয়৷ কিন্তু তাতেও চোখের প্রতি নজর দেন খুব কম মানুষ৷ কিন্তু চোখকে ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন কয়েকটি ব্যায়ামই যথেষ্ট৷ আর এর জন্য আপনার অতিরিক্ত সময় বের করারও দরকার নেই৷ কর্মক্ষেত্রে বসেই আপনি করতে পারেন এই সহজ অথচ উপকারী এই ব্যায়ামগুলি৷
ব্যায়াম-১:
কাজের ফাঁকে খানিকটা সময় চোখ বন্ধ করে রাখুন। হাতে হাত ঘষে হাতের তালু কিছুটা গরম করে বন্ধ চোখের ওপর রাখুন। হাতের তালু এমনভাবে রাখুন যাতে ভেতরে কোনো আলো না যেতে পারে। দুই মিনিট এভাবে চোখ বন্ধ করে রাখুন। দিনে বেশ কয়েকবার এরকম করলে আপনার চোখের বিশ্রাম হবে।
ব্যায়াম-২:
যাঁরা কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন বেশি মাত্রায় ব্যবহার করেন তাদের চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। তাদের জন্য ব্যায়াম হচ্ছে একটানা তাকিয়ে না থেকে ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা। কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় সাধারণের তুলনায় ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন। এতে চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
ব্যায়াম-৩:
রাতে ঘুমানোর সময় বিছানায় শুয়ে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। চোখ বন্ধ করে চোখের পাতা আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। ভ্রুর নিচের দিক ও চোখের নিচের দিক এভাবে দুই মিনিট ম্যাসাজ করে নিন। এতে ঘুমও ভালো হবে৷ আপনার চোখের অতিরিক্ত ক্লান্তিও দূর হবে৷

খুব সহজেই জেনে নিন আপনার ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা আছে কি নেই

ডায়াবেটিসের সমস্যাটি ইদানিং দেখা যায় ঘরে ঘরে। ডায়াবেটিস নামের এই জটিলতাটি একা আসে না, এর সাথে সাথে জীবনে যোগ হয় হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি। ভবিষ্যতে কি আপনারও হতে পারে ডায়াবেটিস? ডায়াবেটিসের লক্ষণ বা পুর্বাভাসের ব্যাপারে প্রিয়.কমের পক্ষ থেকে কথা বলা হয় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার তাহমিনা আক্তারের সাথে। ডাক্তার তাহমিনা জানান, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হয়ে থাকে জন্মগত। কারও শরীর জন্ম থেকেই ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম থাকলে তিনি সারা জীবনের জন্য ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকবেন। বংশগতি, প্যানক্রিয়াস তথা অগ্ন্যাশয়ের রোগ বা ইনফেকশন হতে পারে এর কারণ। টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যাপারে জানা রাখা ভালো। টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মডিফায়েবল এবং নন-মডিফায়েবল দুই ধরণের কেস দেখা যায়। মডিফায়েবল কেস ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, রেড মিট খাওয়ার অভ্যাস এসব কারণে, ওবেসিটি থাকলে টাইপ টু ডায়াবেটিস হতে পারে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে এক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। এছাড়াও দেখা যায়, পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে টিউমার থাকলে ডায়াবেটিস হতে পারে। প্যানক্রিয়াসের ওপর পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের প্রভাব থাকে, ফলে পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে টিউমার হলে প্যানক্রিয়াসের ইনসুলিন উৎপাদনে বাধা পড়তে পারে। এর থেকে ডায়াবেটিস হতে পারে। এই টিউমার সারিয়ে তোলা গেলে ডায়াবেটিসও সেরে যায় বলে জানা ডাক্তার তাহমিনা। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় এক ধরণের ডায়াবেটিস হতে দেখা যায় যা সন্তান জন্ম নেবার আগ পর্যন্ত থাকে। নন-মডিফায়েবল কেস বয়স ৩০ এর বেশি হয়ে গেলে তখন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকতেই পারে, এটা এড়ানোর কোনো উপায় নেই। এছাড়া বংশগতভাবে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে তখন তারও ডায়াবেটিস হবার একটা বড় সম্ভাবনা থাকে যা এড়ানো শক্ত। এক নজরে দেখে নিন ডায়াবেটিস হবার পেছনে দায়ী মূল কিছু কারণ: - ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন - বংশগতি - রক্তে বেশি মাত্রায় খারাপ ধরণের কোলেস্টেরল - বয়স - ইনসুলিন রেসিসটেন্স - উচ্চ রক্তচাপ - যথেষ্ট ব্যায়াম না করা - পলিসিস্টিক ওভারী সিনড্রোম - মধ্যবয়স - ইমপেয়ারড গ্লুকোজ ইনটলারেন্স - গর্ভাবস্থা

ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন যে ৫টি ফল

1443064700
মানুষের জীবনে যাদের ডায়াবেটিস হয়েছে, তাদের জীবনে ছোট হয়ে গেছে খাবারের তালিকা। এটা খাওয়া যাবে না, সেটা খাওয়া যাবে না এই নিয়েই তাদের চলতে হয়। মিষ্টি জাতীয় ফল বা অন্যকিছু খাওয়ার কথাতো তারা ভাবতেই পারেন না। তবে মিষ্টি হলেও পাঁচটি ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। একদম চিন্তা না করে তারা এ ৫টি ফল খেতে পারেন। সে ফলগুলো হচ্ছে : পেঁপে : পাকা পেঁপে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এই ফলটিতেও বেশ ভালো পরিমানে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। কালোজাম : চিন্তা ছাড়াই এই ফলটি খেতে পারেন। কালোজাম সুগার রোগীর রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মূলত কালোজামের বীজ গুঁড়া করে দিনে একবার যদি আধা চামচ খাওয়া যায় তবে তা এই রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর। কিউয়ি : এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এ ফল রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। পেয়ারা : ডায়াবেটিসে খাওয়ার জন্য অন্যতম একটি উপকারী ফল পেয়ারা। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন ‘এ’ আছে, যা সুগার রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। কাঁঠাল : এতদিন সবাই জানত কাঁঠাল একেবারেই নিষিদ্ধ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। কিন্তু সম্প্রতি ডাক্তাররা জানিয়েছেন কাঁঠাল সুগার রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এই ফলটির মধ্যে ভিটামিন ‘সি’, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, নিয়াসিন এই উপকারী উপাদানগুলি থাকে, যা এই রোগীদের পুষ্টির সহায়ক।

ক্যান্সারের যেসকল লক্ষণ অবহেলা করেন বেশীরভাগ নারী

ক্যান্সার পুরো দেহে ছড়িয়ে গেলে তা চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা একেবারেই সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু বেশীরভাগ মানুষই ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে একেবারেই জ্ঞান রাখেন না বলে দেহে বাড়তে থাকে ক্যান্সারের কোষ। অন্য রোগের লক্ষণ মনে করে অবহেলা করতে থাকেন দিনের পর দিন। বিশেষ করে নারীরা নিজের রোগের কথা চেপে রাখেন বলে এমন পর্যায়ে রোগ ধরা পড়ে যা পরবর্তীতে নিরাময় করা একেবারেই সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। অবহেলা করার কারণে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া পিছিয়ে পড়ে যার ফলে বেড়ে চলে মৃত্যুঝুঁকি। আজকে জেনে নিন ক্যান্সারের এমনই ঝুঁকিপূর্ণ ১৫ টি লক্ষণ। ১) ছোট ছোট নিঃশ্বাস ছোট করে শ্বাস নেয়ার ব্যাপারটি অনেকেই অবহেলা করে থাকেন কারণ অতিরিক্ত পরিশ্রমের সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই ছোট নিঃশ্বাস নেয়ার ব্যাপারটি এবং নিঃশ্বাসের সাথে শব্দ হওয়ার ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ করে। ২) দীর্ঘমেয়াদী কফ ও কাশি অনেকেই এই দীর্ঘ সময়ের কফ-কাশিকে ব্রংকাইটিস বা অন্য সমস্যা মনে করে ভুল করে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞের মতে এই দীর্ঘমেয়াদী কাশির সমস্যা হতে পারে ফুসফুসে টিউমার বা লিউকমিয়ার লক্ষণ। সুরতাং সাবধান। ৩) খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া শুধুমাত্র টনসিল সমস্যার কারণেই খাবার গিলতে কষ্ট হয় না। যদি টনসিলের সমস্যা ছাড়াই খাবার গিলতে কষ্ট হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত কারণ এটি ফুসফুসের ক্যান্সার ও গলার ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ করে। ৪) মুখ ফুলে যাওয়া মুখ ফুলে যাওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে একেবারেই ভাবেন না কেউ কারণ ওজন বাড়া বা অতিরিক্ত ঘুমানোর কারণেও মুখ ফুলতে পারে। কিন্তু লাংস টিউমারের কারণেও হতে পারে এই সমস্যাটি। টিউমারের কারণে শিরা উপশিরা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে রক্ত সঞ্চালন হয় না যার কারণে এই মুখ ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। ৫) ঘন ঘন জ্বর হওয়া লিউকমিয়ার কারণে দেহে রক্তের শ্বেত কণিকার উৎপাদনে সমস্যা হতে থাকে যার কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কমে যায়। আর এর ফলে খুব ঘন ঘন জ্বর ও ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। ৬) লসিকাগ্রন্থি প্রদাহ এবং ফুলে যাওয়া গলা, বগলের নিচ এবং কুঁচকির লসিকাগ্রন্থিতে কোনো কারণ ছাড়াই প্রদাহ অনুভব করা এবং ফুলে যাওয়ার সমস্যা অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। ৭) ব্যথা পাওয়া ছাড়াই জখমের দাগ ব্যথা পেলে রক্ত জমে জখমের দাগ হয়ে থাকে। কিন্তু যদি ব্যথা পাওয়া ছাড়াই দেহে জখমের দাগ দেখতে পান তাহলে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। কারণ এটি লিউকমিয়ার লক্ষণ। ৮) তলপেট ব্যথা হওয়া পিরিয়ডের কারণে তলপেটে অস্বস্তিকর ব্যথা হয়ে থাকে অনেকের। কিন্তু পিরিয়ডের কারণে না হয়ে এমনিতেই কোনো কারণ ছাড়া তলপেট ব্যথা হওয়া হতে পারে ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণ। ৯) হুট করে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে বা কমে যাওয়া কোনো কারণ ছাড়াই হুট করে ওজন বেড়ে না কমে যাওয়ার বিষয়টি একেবারেই উড়িয়ে দেবেন না। বিশেষজ্ঞের মতে এটি ওভারিয়ান ও পরিপাকতন্ত্রের ক্যান্সারের লক্ষণ। ১০) পায়খানার সাথে রক্ত পড়া পাইলস ছাড়াও এই সমস্যাটি কলোরেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। ১১) পিঠে ব্যথা এই বিষয়টি বসার ভুল এবং অনেক বেশী বসে থাকার সমস্যা বলেই মনে করেন প্রায় সকলেই। কিন্তু এটি স্তন ও লিভার ক্যান্সারের কারণেও হতে পারে। অবহেলা করবেন না। ১২) স্তনের পরিবর্তন স্তনের রঙ পরিবর্তন, ফুলে যাওয়া, টোল পড়া, গোটা অনুভব করা ইত্যাদি যে কোনো পরিবর্তনে একেবারেই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন কারণ এগুলো স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ। ১৩) পিরিয়ডের সমস্যা অতিরিক্ত পিরিয়ড, পিরিয়ডের রঙ পরিবর্তন, পিরিয়ড সাইকেলের মাঝে রক্তপাত হওয়া অর্থাৎ ১০-১৫ দিনের মধ্যেই পিরিয়ড হওয়া ইত্যাদি সমস্যা ইউটেরিয়ান ও এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের লক্ষণ। ১৪) নখের পরিবর্তন নখের ওপর কালো দাগ, আঁকাবাঁকা ডোরা ধরণের দাগ হলে অন্য কোনো সমস্যা বলে ভুল করবেন না। কারণ এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ। ১৫) ত্বকের সমস্যা ত্বকের অস্বাভাবিকতা, কেটে গেলে সহজে ঠিক না হওয়া এবং ত্বকের খুব মারাত্মক ইনফেকশন হওয়ার মতো সমস্যা স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ।

চিরকাল স্লিম থাকতে মেনে চলুন সহজ ৬ টি টিপস

ওজন কমানোর চাইতে বেশী সমস্যা হয় ওজন কমানোর বিষয়টি ধরে রাখার ক্ষেত্রে। কষ্ট করে ব্যাপক পরিশ্রম করে ওজন কমিয়ে এনে পরে পরিশ্রম করা ছেড়ে অর্থাৎ ব্যায়াম ও ডায়েট করা ছেড়েদিয়ে আবার মোটা হয়ে যান অনেকেই। কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে চললে খুব কষ্টকর ডায়েট এবং ব্যায়াম ছাড়াই চিরকাল স্লিম থাকা সম্ভব বেশ সহজে। জানতে চান কীভাবে? চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক খুবই সহজ কিছু টিপস। ১) নিজেকে উৎসাহী করুন আপনি যদি মন শক্ত রাখতে না পারেন তাহলে কিছুই কাজ করবে না। আপনি মন শক্ত রেখে ডায়েট এবং ব্যায়াম করে গেলেই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে চিরকাল স্লিম থাকতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনি মাঝা পথেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন তাহলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবেন।

২) ৩ বেলার পরিবর্তে ৫/৬ বেলা খাবেন

৩বেলার পরিবর্তে ৫-৬ বেলা অল্প করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। তবে ৩ বেলায়যা খেতেন সেটাই ভাগ করে ৫-৬ বেলাতে নিয়ে আসবেন। একবারে বেশি খেলে খাবার হজমহতে দেরি হয় যার কারণে দেহে মেদ জমে। ৫-৬ বার খাবার খেলে একবারে কম খাওয়াহবে, মেদও জমবে না।

৩) নিজের খাদ্যাভ্যাস পাল্টে ফেলুন

অস্বাস্থ্যকর সকল খাবারকে না বলে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে নজর দিন। তবে এর মানে এই নয় যে আপনি একেবারেই কেক পেস্ট্রি আইসক্রিম বা ফাস্ট ফুড খেতে পারবেন না। শুধু পরিমাণ কমিয়ে সপ্তাহে ১ দিন এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন তাও পরিমিত।

৪) শুধু খাবার নয় পানীয়ের দিকেও নজর দিন

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলেন ঠিকই কিন্তু চিনি সমৃদ্ধ পানীয় পান করে ফেললেন ইচ্ছে মতো। তাহলে কিন্তু কোনো লাভই হবে না। পানিবাদে অন্যান্য যতো পানীয় পান করছেন তার সবগুলোর ব্যাপারে সর্তক থাকুন।সফট ড্রিংকস বাফলের জুস যা-ই হোক না কেন পানীয়ের বাড়তি চিনিটাই আপনার জন্য ক্ষতিকর।

৫) ক্যালোরি কম গ্রহণ করুন

ক্যালোরি যতো গ্রহণ করতে থাকবেন ততোই ওজনের ওপর তার প্রভাব পড়বে। তাই প্রতিবেলা খাবারের ক্যালোরি হিসাব করে খাবার খান। হিসেব মতো ক্যালোরি গ্রহণ করলেই চিরকাল দেহটাকে রাখতে পারবেন স্লিম।

৬) শারীরিক পরিশ্রমকে হ্যাঁ বলুন

ব্যায়াম করার জন্য আলাদা সময় বের না করতে পারলেও শারীরিক পরিশ্রমকে না বলবেন না কখনোই। স্লিমহওয়ার ব্যাপারটা ধরে রাখতে চাইলে পরিশ্রম করার অভ্যাস তৈরি করেফেলুন। সেটা বাইরের কাজও হতে পারে বাঘরের কাজ হতে পারে।

হাতের কাছেই যৌন শক্তি বর্ধক উপকরণ!

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি থাকে এমন কিছু খাবার যার মধ্যে রয়েছে জিনসিনোসাইড তবে আপনি সহজেই ফিরে পেতে পারেন নবজৌবনের উদ্দীপনা। জেনে নিন ৫টি খাবারের কথা- হিং: ডা. এইচ কে বাকরু তার ‘হার্বস দ্যাট হিল: ন্যাচরাল রেমেডিস ফর গুড হেলথ’ বইতে লিখেছেন, যদি টানা ৪০ দিন ধরে রোজ ০.০৬ গ্রাম হিং খাওয়া যায় তাহলে পেতে পারেন সুস্থ যৌনজীবন। রান্নায় মেশাতে পারেন হিং। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস পানিতে এক চিমটি হিং ফেলে খেলেও পাবেন উপকারিতা। ডাঁটা: আমেরিকান জার্নাল অফ নিউরোসায়েন্স জানাচ্ছে পুরুষদের যৌন উদ্দীপনার ঘাটতিতে খুব ভাল কাজ করে সজনে ডাঁটা। প্রতিদিনের ডায়েট রাখতে পারেন সজনে ডাঁটা। অথবা ১ গ্লাস দুধে সজনে ফুল, নুন ও গোলমরিচ মিশিয়ে প্রতিদিন খেলেও উপকার পাবেন। জিরা: জিরার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ও জিঙ্ক গোপনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে বাড়ে যৌন উদ্দীপনা। জানাচ্ছে জার্নাল অফ দ্য সায়েন্স অফ ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার। প্রতিদিন ১ কাপ গরম চায়ে জিরা ফেলে খান। আদা: বিভিন্ন ক্ষেত্রে আদার উপতারিতার কথা আমাদের সকলেরই জানা। সুস্থ যৌনজীবন বজায় রাখতেও অপরিহার্য হতে পারে আদা। আদার মধ্যে থাকা ভোলাটাইল অয়েল স্নায়ুর উত্তেজনা বাড়ায় ও রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক রাখে। প্রতিদিন একটি সেদ্ধ ডিমের সঙ্গে আদার রস ও মধু খেতে পারেন। রসুন: আফ্রিকান হেলথ সায়েন্স জানাচ্ছে আদার মতোই উপকারী রসুন। রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে রসুন। ফলে প্রতিদিনের ডায়েটে যদি রসুন থাকে তবে কমতে পারে শারীকির সক্ষমতার দুশ্চিন্তা।