গলব্লাডার
একটা ছোট্ট নাশপাতি আকৃতির অঙ্গ যা কিনা লিভারের নীচে অবস্থান করে। শরীরের
জন্য অতি প্রয়োজনীয় বাইল বা পিত্ত নি:সরণ করে এই অঙ্গটি। একারণে এর নামকরণ
করা হয়েছে পিত্তথলি। এই পিত্তথলি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন নানা জটিলতা
দেখা দিতে পারে। আর গলব্লাডারে পাথর হলে অপারেশন ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।
কি কারণে গলব্লাডারে পাথর হয় এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। গলব্লাডারের
সমস্যা ও করণীয় সম্পর্কে বিশিষ্ট ল্যাপারোসড়পিক সার্জন উত্তরা আধুনিক
মেডিক্যাল কলেজ ও ধানমন্ডিস্থ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীফ হাসপাতালের
সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডা: সরদার এ নাঈম বলেন, কি কারণে গলব্লারের পাথর
হয় এর কোন বৈজ্ঞানিক যুক্ত নেই। এমনকি সুপারি জাতীয় খাদ্য ও তৈলাক্ত
খাবারের সঙ্গেও এর কোন সম্পর্ক নেই। তবে পুরুষের চেয়ে মধ্যবয়সী মহিলাদের
গলস্টোন বেশী হয়, শরীরের বেশী ওজন, গর্ভাবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রণের খাবার বড়ি,
হরমোন থেরাপি, দ্রুত ওজন হ্রাস, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের আধিক্যসহ নানা
কারণে গলস্টোনের ঝুঁকি বাড়ে। যাদের গলব্লাডারে পাথর হয়
তাদের অপারেশন করাই ভালো। অন্যথায় ছোট
পাথর কনা গলব্লাডার থেকে বেরিয়ে পিত্তনালীতে জমে ব্লক সৃষ্টি করতে পারে।
এতে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। তাই গলব্লাডারের সমস্যা কখনই ছোট করে
দেখা উচিত নয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে গলস্টোন হলে কোন ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়না।
অনেক ক্ষেত্রে গলস্টোনের কারণে পিত্তনালী ব্লক হলে তখন নানা জটিলতা দেখা
দিতে পারে। ডা: সরদার নাঈমের মতে গলব্লাডারের পাথর বা গলব্লাডারের সমস্যা
প্রতিরোধের কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেই। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণ, রক্তের চর্বি বা
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা ভালো। এছাড়া চল্লিশোর্ধ পুরুষ ও মহিলারা বছরে
অন্তত:একবার আলট্রাসনোগ্রাম ও লিভার ফাংশন টেস্ট করতে পারেন। এদিকে অনেকে
মনে করেন গলব্লাডার অপসারণের ফলে কোন ক্ষতি হয় কিনা। বিশেষজ্ঞদের মতে
গলব্লাডার ফেলে দেয়া হলে স্বাভাবিক জীবন যাপনে কোন সমস্যা হয়না।
গলব্লাডার ছাড়াই আমরা সুস্থ স্বাভাবিক
থাকতে পারি। তবে যখনই গলব্লাডারের সমস্যা ধরা পড়বে তখনই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ
চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত। অন্যথায় ক্ষেত্র বিশেষ বিপদ হবার আশংকা
থাকে।
No comments:
Post a Comment