Monday, September 28, 2015
যে সমস্ত বিষয় কেড়ে নেয় আপনার যৌবন
নিয়মিত যত্ন ছাড়াও নিজের লাবণ্য ধরে রাখতে কে না চায়। বিশেষ করে আজকাল বয়স ত্রিশের কোটা পার হতে না হতেই চেহারায় ও শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেখা যায় অনেকেরই। মুখের চামড়া ঝুলে পড়া কিংবা মুখে বয়স জনিত মেচেদা, দাগ ও রিংকেল দেখা যায়। বিরূপ আবহাওয়ার পাশাপাশি এই অল্প বয়সে চেহারা বুড়িয়ে যাবার জন্য দায়ী আমাদেরই কিছু অভ্যাস। বলা চলে রীতিমত বদ অভ্যাস। এই খারাপ অভ্যাসগুলো আমাদের ভেতরটার সাথে সাথে বাইরের সৌন্দর্যও কেড়ে নিচ্ছে। আপনার শরীরকে কেবল বুড়িয়ে দিচ্ছে না, নষ্ট করে দিচ্ছে আপনার চেহারার সৌন্দর্যকেও। বয়সের চাইতেও তাই অনেক বেশি বয়স্ক দেখাচ্ছে আপনাকে। অথচ সামান্য এই ভুল গুলো শুধরে নিলেই কোনো রকম বাড়তি যত্ন ছাড়াই আপনার শরীর ও চেহারার যৌবন থাকবে অটুট।
কম ঘুমানো
ব্যস্ততা কিংবা অন্যান্য অনেক কারণেই আমাদের ঘুম পরিমিত পরিমাণে হয় না। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দিনে সাত-আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। পরিমিত না ঘুমানোর জন্য দেহে অন্যান্য রোগের পাশাপাশি ত্বকেও দেখা যায় বয়সের ছাপ পড়তে। ডার্ক সার্কেল ও চোখের নিচের ফোলা ভাবের জন্য দায়ী পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। শুধু তাই নয় অপর্যাপ্ত ঘুমের কারনে দ্রুত মুখের চামড়া ঝুলে পড়তে দেখা যায়। আর হাজারো বাড়তি অসুখ বিশুখ তো সাথে আছেই বোনাস হিসাবে!
বেশি পরিমাণে মিষ্টি খাবার খাওয়া
বেশি পরিমাণে মিষ্টি খাবার খাওয়া শুধুমাত্র ওজনই বাড়ায় না, ত্বকেরও অনেক ক্ষতি করে। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে ত্বকের কোলাজেন টিস্যুর ক্ষতি হয়, ফলে ত্বকে রিংকেল দেখা যায়। এদিকে আপনার ওজন বাড়ায়, শরীরের জন্ম দেয় নানান রকম রোগ,খুব কম বয়সেই রীতিমত বার্ধক্য নিয়ে আসে শরীরে। সুতরাং মিষ্টি খাবার খাওয়া থেকে সাবধান।
ধূমপান ও মদ্যপান
ধূমপান ও মদ্যপানের ফলে শরীরের কি ক্ষতি হয় সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। একই সাথে চেহারারও ক্ষতি হয় ভীষণ। ত্বকের নিচের শিরা-উপশিরায় রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায়। এতে ত্বকের নিচের শিরা-উপশিরা স্থায়ীভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়। ফলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের বয়সজনিত দাগ দেখা দেয়।
অতিরিক্ত ব্যায়াম
ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভাল। কিন্তু অতিরিক্ত কোনো কিছুই ঠিক নয়। আপনি যদি ভাবেন যে বেশি ব্যায়াম করলে শরীর সুগঠিত হবে তা হয়তো ঠিক। তবে এটাও ঠিক যে বেশি কায়িক পরিশ্রমও শরীর ও চেহারা থেকে কেড়ে নেয় যৌবন। এর পাশাপাশি ত্বকের যৌবনও হারাচ্ছেন। অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে ত্বকের কোলাজেন টিস্যু ভেঙে যায়। এর ফলে ত্বকে রিংকেল দেখা দেয়। ত্বক বুড়িয়ে যায়।
সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা
অনেকেই রোদের পোড়াকে তেমন গুরুত্ব দেন না। আবার অনেকেই ভুলে কিংবা আলসেমি করে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না। কিন্তু এতে আপনি আপনার নিজেরই ক্ষতি করে চলেছেন। সূর্যের রশ্মির তেজ আপনার চেহারায় দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলে। মেচেদা, দাগ, রিংকেল ও চামড়া ঝুলে পড়ার মত ক্ষতি করে রোদ। তাই প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
এক ডজন কৌশলে ধরে রাখুন চেহারার যৌবন ও লাবণ্য
খুব সাধারণ কিছু অভ্যাসের কারণে আমাদের চেহারায় ও দেহে পড়তে থাকে বয়সের ছাপ। সাধারণত মধ্যবয়সের আগে আমাদের দেশে বয়স নিয়ে কেউ মাথা ঘামান না। ভাবেন, জীবন তো পড়েই আছে! যদিও সত্য কথাটা হচ্ছে এই যে বয়স ২০ পার করে ফেললেই সচেতন হওয়া উচিত, যদি আপনি ধরে রাখতে চান আপনার যৌবনদীপ্ত চেহারা ও কমনীয় সৌন্দর্যের লাবণ্য। কী করবেন? আজকের ফিচারে জেনে নিন বার্ধক্য রোধ করে রাখার এমন এক ডজন টিপস, যেগুলো চমকে দিতে পারে আপনাকে!
১) অ্যান্টিএজিং শুরু করতে হবে দ্রুত
ত্বকের বার্ধক্য রোধের চেষ্টা শুরুকরতে হবে যতো দ্রুত সম্ভব। সবারই ধারণা বয়সের ত্রিশের কোঠায় পৌঁছালেই কেবল অ্যান্টিএজিঙ্গের জন্য ত্বকের যত্ন করতে হবে? আসলে তা নয়। বরং আরও আগে থেকেই ত্বকের যথেষ্ট যত্ন নেওয়া জরুরী।
২) অ্যান্টিএজিং ব্যবহার করলেও ত্বকের বার্ধক্য আসবেই
ত্বকের যত্ন নেওয়া হলে সহজে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না। কিন্তু যতই শরীরের যত্ন নেন না কেন, একটা সময়ে শরীর বুড়িয়ে যাবে। ঠিক তেমনি, বিভিন্ন অ্যান্টিএজিং পণ্য ব্যবহার করলেও একটা সময়ে ত্বক বার্ধক্যের ছাপ পড়বেই। ত্বক ঝুলে পড়বে, রুক্ষ হয়ে যাবে আগের চাইতে, ছোপ ছোপ দাগও পড়তে পারে। এই সমস্যাগুলো আরও বাড়বে আপনি যদি রোদে বেশি সময় থাকেন।
৩) সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা আপনার সবচাইতে বড় ভুল
সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলে যান অনেকেই। বলেন এতে সময় বেশি লাগে আর বাইরে যাবার আগে এতো সময় নষ্ট করতে পারবেন না তারা। কিন্তু নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করার মতোই সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটাকেও একটি অভ্যাসে পরিণত করুন। ত্বকের বার্ধক্যের গতি কমিয়ে আনতে এটি সবচাইতে কার্যকর উপকরণ।
৪) ঘাড়-গলা এবং হাতের যত্ন নিতে ভুলবেন না
অনেক সময়েই দেখা যায়, মুখের ত্বক ঝলমল কছে, লাবণ্য পড়ছে উপচে, অথচ হাত এবং গলার জাচ্ছেতাই অবস্থা। মুখের মতো গোল ও হাতের ওপরেও বয়সের ঝড়ঝাপটা যায়। তাই এসব এলাকারও যত্ন নেওয়া উচিৎ যথাযথ।
৫) পান করার সময়ে ব্যবহার করবেন না স্ট্র
স্ট্র ব্যবহার করে কোমল পানীয় পান করাটা অনেকেরই অভ্যাস। কিন্তু এই কাজটি করার ফলে মুখের চারপাশের ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে অনেক দ্রুত।
৬) ব্যবহার করুন আই ক্রিম
চোখের আশেপাশের ত্বক হলো শরীরের সবচাইতে পাতলা ত্বক। ফলে একে রাখতে হবে যত্নে। বয়স বিশের মাঝামাঝি পৌঁছে গেলে ভালো একটি আই ক্রিম ব্যবহার শুরু করুন যাতে চোখের আশেপাশের ত্বক ভালো থাকে। যেসব সানগ্লাস অতিবেগুনী রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয় সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
৭) ব্যবহার করুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
মেকআপ ত্বকের ত্রুটি ঢেকে দেয় সত্যি, কিন্তু ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসতে খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জুড়ি নেই। নিয়মিত খাবার অভ্যাস করুন ফল, সিমজাতীয় সবজি এবং ডার্ক চকলেট।
৮) পা ক্রস করে বসবেন না
পায়ের যত্ন নেবার কথা কারোই মনে থাকে না। বার্ধক্যের ছাপ তো পায়ের ওপরেও পড়বে বই কী। এ কারণে পা ক্রস করে বসার অভ্যাসটি পাল্টে ফেলুন। বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকবার দরকার হলে এক পা থেকে আরেক পায়ে ভার বদল করতে থাকুন।
৯) কোনোভাবেই ধূমপান করবেন না
তারুণ্যে অনেকেই শখ করে ধূমপান করে থাকেন। কিন্তু ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে থাকতে হবে এর থেকে একশো হাত দূরে। এটি ত্বকে রক্ত চলাচলে বাঁধা দেয়। আর প্রতিবার ধূমপানের সাথে সাথে আপনার ঠোঁটের চারপাশে পড়বে বলিরেখা।
১০) ব্রণ খোঁচাখুঁচি করবেন না
ব্রণে যতো হাত দেবেন তত ক্ষতি বেশি হবে। তাই ব্রণ খোঁচানোর অভ্যাস একেবারে বাদ দিন। আর মুখে ব্রণের জেদি দাগ থাকলে তা দূর করার জন্য কথা বলুন ডার্মাটোলজিস্টের সাথে।
১১) থাকুন সক্রিয়
অর্থাৎ ব্যায়ামে অভ্যস্ত হয়ে যান। সারা শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হলে ত্বক থাকবে সুস্থ আর আপনাকে দেখেই তা বোঝা যাবে।
১২) হালকা গরম পানিতে গোসল করুন
অনেকে ভীষণ গরম পানিতে গোসল করে থাকেন। কিন্তু এতে ত্বক থেকে হারায় আর্দ্রতা। হালকা গরম পানিতে গোসলের অভ্যাস করুন। শুধু তাই নয়, বয়সের সাথে সাথে চুল কমে যায়। তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল শ্যাম্পু করা কমিয়ে দিন। মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল চুলের সাথে মিশে চুলকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে এই অভ্যাস।
ত্বকের যে ১০টি সমস্যা তৈরি হচ্ছে আপনারই ভুলে
ত্বকের যত্ন নেবার সব নিয়ম জানা আছে আপনার। এর পরেও আপনার ত্বক থেকে নিষ্প্রাণ ভাবটা যাচ্ছেই না। আপনি কি জানেন, নিজেরই কিছু ভুলে আপনার ত্বক হারাচ্ছে সৌন্দর্য?
যদি হাসতে হাসতে মরতে না চান তাহলে এই ভিডিও দেইখেন না… (ভিডিও)
নারিকেল তেলের ২৬টি অজানা ব্যবহার (ভিডিও)
আদম আ. কে যে পাহাড়ে নামানো হয়েছিল (ভিডিও)
১) ব্রণের উপদ্রব
নিয়মিতই ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন আপনি। কিন্তু তারপরেও কয়েক সপ্তাহ পরপরই ব্রণ উঠে ভরে যাচ্ছে আপনার ত্বক। হয়তোবা ত্বকের যত্ন নিতে গিয়ে আপনি এমন কিছু করছেন যাতে উল্টো ক্ষতিই হচ্ছে আপনার। বিশেষ করে ত্বক অতিরিক্ত পরিষ্কার করার ফলে এই সমস্যাটা হতে পারে। ত্বকে বেশি ঘষামাজা করতে গেলে ত্বক তেল উৎপাদন আরও বাড়িয়ে দেয়, ফলে ত্বকে ঘন ঘন ব্রণ হতে পারে।
২) বলিরেখা এবং কুঞ্চন
ত্বকে বার্ধক্যের প্রথম লক্ষণ হলো এগুলো। বয়স মধ্য-ত্রিশে পৌঁছালে মুখে বলিরেখা উঁকি দেওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু নিজস্ব কিছু অভ্যাসের কারণে বলিরেখা খুব দ্রুত দেখা দিতে পারে। একটি কারণ হলো রোদে পোড়া। কেউ কেউ জীবনের প্রয়োজনেই সারাদিন রোদে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু তাদের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা খুবই জরুরী। বয়স বিশের কোঠায় গেলেই যদি ত্বক ভাঁজ পড়তে থাকে তবে অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখতে হবে। রাতের বেলায় উপযুক্ত একটি নাইট ক্রিমের ব্যবহারটাও ভালো।
৩) ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ
ত্বকে কোনো কারণ ছাড়াই ছোপ ছোপ দাগ পড়ে থাকলে সেটাও হতে পারে রোদের কারণে। সানস্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস থাকা ভালো। কিন্তু এর পরেও ত্বককে একটু যত্ন করতে হবে। ত্বকের রঙ হালকা করার ভালো কোনো ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন এক্ষেত্রে। এগুলো ছোপ ছোপ দাগ দূর করে থাকে।
৪) ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস
ত্বকে মৃত কোষ এবং তেল জমে এগুলো দেখা দেয়। সপ্তাহে একদিন এক্সফলিয়েট করা এবং দিনে দুইবার মুখ ধোয়ার অভ্যাস থাকলে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ত্বকে অতিরিক্ত মেকআপ করলে ব্ল্যাকহেডসের ভয়াবহ প্রকোপ দেখা দেয় তাই খুব বেশি ভারী মেকআপ করবেন না। কয়েক ধরণের মেকআপ ব্যবহার, নিয়ম না মেনে মেকআপ করলেও এই সমস্যা হতে পারে। অনেকে মেকআপ নিয়েই ব্যায়াম করেন বা ঘুমিয়ে যান। এ থেকেও হতে পারে ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস।
৫) চামড়া ওঠা
সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময়ে অনেকেই একটি ভুল করেন আর তা হলো দিনে একবারই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। অনেকেই জানেন না যে তিন ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন নতুন করে মাখতে হয়। দিন একবার সানস্ক্রিন মেখে সারাদিন ঘোরাঘুরি করলে রোদে পুড়ে চামড়া উঠে যাবার সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
৬) ফাটা ঠোঁট
মেকআপ না করলেও নিদেনপক্ষে লিপস্টিক দিয়ে বের হন সবাই। অথচ ঠোঁটের যত্ন নেবার ক্ষেত্রে কারোই তেমন উৎসাহ দেখা যায় না। ঠোঁটের পাতলা ত্বক খুব সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে ঠোঁটেরও যত্ন নেওয়া উচিৎ নিয়মিত। ব্যবহার করুন এমন কোনো লিপ বাম যা ঠোঁটকে কোমল রাখে এবং ফাটা ঠোঁটকে মেরামত করতে সাহায্য করে।
৭) টি-জোন ট্যানিং
নাক, কপাল ও গালের ওপরের দিকে রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষতি বেশি দেখা যায়। এটাও হয় সানস্ক্রিন ব্যবহারে অবহেলার কারণে। ত্বকে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার জরুরী। এছাড়াও ত্বক থেকে মৃত কোষ সরিয়ে ফেলার জন্য এক্সফলিয়েট করতে হবে নিয়মিত।
৮) রুক্ষ শুষ্ক ত্বক
কী করে বুঝবেন আপনার ত্বক মাত্রাতিরিক্ত শুষ্ক? ত্বকের ওপর দিয়ে নখ টেনে নিন। যদি সাদা দাগ পড়ে তবে বুঝতে হবে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক। এটা হয়ে থাকে ত্বকের জন্য বেশি ক্ষতিকর কিছু ক্লিনজার ব্যবহারের কারণে। এছাড়াও ঘন ঘন গরম পানিতে গোসলের কারণেও ত্বক থেকে হারিয়ে যেতে পারে আর্দ্রতা। যথেষ্ট পানি পান না করলে এবং ঘুম ঠিকমতো না হলেও ত্বকে নিষ্প্রাণ ভাব চলে আসে। এসব অভ্যাস বাদ দিন এবং নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৯) ফাটা গোড়ালি
কোনোরকম ফাটা দাগবিহীন মসৃণ গোড়ালির স্বপ্ন দেখি আমরা সবাই। কিন্তু সারাদিন হাঁটাহাঁটির পর পায়ের যত্ন না নেবার কারণে তা স্বপ্নই থেকে যায়। একে বাস্তবে রূপ দেওয়া কিন্তু আসলে তেমন কঠিন কিছু নয়। ছুটির দিনগুলোতে কিছু সময় বের করে নিন। হালকা গরম পানিতে কিছুটা এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। এরপর ময়েশ্চারাইজার দিয়ে ম্যাসাজ করে নিন পা। নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখা আর সপ্তাহান্তে এই কাজটি করলে গোড়ালি সুন্দর হয়ে উঠবে আপনারও।
১০) কালচে কনুই এবং হাঁটু
হাঁটু এবং কনুইতে কালো দাগ এবং কড়া পড়লে বুঝতে হবে সেখানে আর্দ্রতার অভাব হচ্ছে। এসব জায়গার ত্বকেও এক্সফলিয়েট করাটা জরুরী। আর গোসলের পর একটি ভালো ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন এসব জায়গায়।
মাংস খেলে অ্যালার্জি, এক মিনিটেই ওষুধ ছাড়া সমাধান
কোরবানির ঈদ মানেই চারিদিকে মাংসের ছড়াছড়ি। কিছু মানুষ আছেন যারা অ্যালার্জির জন্য মাংস খেতে পারেন না। তারা কী করবেন? আসলে অ্যালার্জির সমস্যা অনেক বিরক্তিকর একটি সমস্যা। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের যেসকল জিনিস এবং খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে সেগুলোর সংস্পর্শে এলেই চুলকোনি, র্যাশ উঠা এবং চাকা মতো ফুলে উঠার সমস্যায় পড়তে দেখা যায় যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। তবে ঘরোয়া উপায়েও কিন্তু এই অ্যালার্জি নিরাময় সম্ভব এবং তা হবে একেবারেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন ভাবে। রান্নাঘরের টুকিটাকি দিয়েই অনায়াসে অ্যালার্জি নিরাময়ের জাদুকরী পানীয় তৈরি করে নিতে পারেন। আর এই পানীয় তৈরি করতে সর্বোচ্চ সময় লাগবে মাত্র এক মিনিট। তার মানে মাত্র এক মিনিটেই আপনি অ্যালর্জির সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পাচ্ছেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক পানীয়টি তৈরির পদ্ধতি এবং এর কার্যকারিতা।
যা যা লাগবে:
– ২ টি আপেল
– ২ টি গাজর
– ১ টি বড় বিটরুট
যদি হাসতে হাসতে মরতে না চান তাহলে এই ভিডিও দেইখেন না… (ভিডিও)
নারিকেল তেলের ২৬টি অজানা ব্যবহার (ভিডিও)
আদম আ. কে যে পাহাড়ে নামানো হয়েছিল (ভিডিও)
পদ্ধতি:
– উপকরণগুলো ব্লেন্ডারে বা জুসারে দিয়ে ব্লেন্ড করে রস ছেঁকে নিন অথবা জুসারে জুস তৈরি করে নিন।
– ব্যস, প্রতিদিন ১ গ্লাস পান করে নিন। দেখবেন অ্যালার্জির উদ্রেক অনেক কমে গিয়েছে।
কার্যকারণ ও উপকারিতা:
আপেলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি এবং সি যা আমাদের দেহের পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূরে রাখে। বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটেইন, এনজাইম এবং ভিটামিন এ যা গলব্লাডার ও লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়ক। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং গাজরের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান লিভার এবং পরিপাকতন্ত্রকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। আর এই সকল পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই পানীয়টি আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সুরক্ষা করে এবং ভেতর থেকে মজবুত করে। এতে করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার কারণে অ্যালার্জির মতো ছোটখাটো সমস্যা আপনা থেকেই সেরে যেতে সাহায্য করে।
সতর্কতা:
যদি দেহে অন্যান্য কোনো সমস্যার কারণে উপরের যেকোনো উপকরণ খাওয়া নিষেধ থাকে তাহলে এই পদ্ধতি অবলম্বনের আগে নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন।
সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের গরুর মাংসের এই রেসেপিটি চেখে দেখা হয় নি আপনার
আমাদের
বাঙালিদের গরুর মাংস রান্নার একটি ভিন্ন ধাঁচ রয়েছে যা ছেড়ে আমরা অন্য
ভাবে রান্না খুব কমই করি। বিশেষ করে ঈদের সময়টাতে ট্র্যাডিশনাল রান্নাই করা
হয়ে থাকে। কিন্তু একটু স্বাদ বদলাতে সকলেই ভিন্নধর্মী কিছু খুঁজে থাকে।
আজকে শিখে নিন চিরচেনা গরুর মাংসের এমনই একটি ভিন্নস্বাদের রেসিপি যা আজও
চেখে দেখা হয় নি আপনার।
– ২ চা চামচ লবণ
– দেড় চা চামচ চিনি
– ২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
– ২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
– ২ টেবিল চামচ বাদাম বাটা
– আধা কাপ টক দই
মশলার জন্য
– ৩ টি পেঁয়াজ কুচি
– ২ ইঞ্চি আদা কুচি
– ৪ টি রসুনের কোয়া কুচি
– মরিচ ঝাল বুঝে
– ২ টি শুকনো মরিচ
– ২ টেবিল চামচ বাদাম বাটা
– ২টেবিল চামচ তেল
তরকারীর জন্য
– ২ টি পেঁয়াজ কুচি
– ২ টেবিল চামচ তেল
– লবণ স্বাদমতো
– ৪ চা চামচ সয়া সস
– ৩ চা চামচ চিনি ও ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ফেটানো দেড় কাপ টকদই
উপকরণ
– ২ কেজি গরুর মাংস মাঝারী করে কাটা– ২ চা চামচ লবণ
– দেড় চা চামচ চিনি
– ২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
– ২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
– ২ টেবিল চামচ বাদাম বাটা
– আধা কাপ টক দই
মশলার জন্য
– ৩ টি পেঁয়াজ কুচি
– ২ ইঞ্চি আদা কুচি
– ৪ টি রসুনের কোয়া কুচি
– মরিচ ঝাল বুঝে
– ২ টি শুকনো মরিচ
– ২ টেবিল চামচ বাদাম বাটা
– ২টেবিল চামচ তেল
তরকারীর জন্য
– ২ টি পেঁয়াজ কুচি
– ২ টেবিল চামচ তেল
– লবণ স্বাদমতো
– ৪ চা চামচ সয়া সস
– ৩ চা চামচ চিনি ও ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ফেটানো দেড় কাপ টকদই
পদ্ধতি
–- প্রথমেই, টকদই, বাদাম বাটা, লবণ, চিনি, হলুদগুঁড়ো, মরিচগুঁড়ো একটি বড় বাটিতে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এই মশলায় গরুর মাংস দিয়ে ভালো করে মেরিনেট করে রেখে দিন ২০ মিনিট।
- – এরপর মসলার জন্য রাখা সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে মসৃণ মিশ্রন তৈরি করে নিন।
- – একটি প্যানে তেল গরম করে এতে পেয়জ কুচি দিয়ে নরম করে নিন। এরপর এতে মেরিনেট করে রাখা মাংস দিয়ে ভালো করে নেড়ে কষাতে করতে থাকুন। মাংস খানিকক্ষণ নেড়ে নিয়ে আলাদা করে নামিয়ে নিন একটি ডিশে।
- – একই প্যানে আরও একটু তেল দিয়ে গরম করে বানিয়ে রাখা মশলা দিয়ে ভালো করে নেড়ে কষাতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর তরকারীর জন্য রাখা সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে নেড়ে মশলা কষিয়ে নিন কয়েক মিনিট। তারপরএতে ফেটিয়ে রাখা টকদই দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
- – ফুটে উঠলে কষিয়ে রাখা মাংস দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করতে থাকুন। অল্প থেকে মাঝারি আঁচে মাংস সেদ্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
- – মাংস হয়ে এলে এবং ঝোল শুকিয়ে মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে নিন। ব্যস, এবার গরম গরম পরিবেশন করুন রুটি, পরোট, নান কিংবা পোলাও ও খিচুড়ির সাথে এই সুস্বাদু এই ভিন্ন স্বাদের গরুর মাংস ভুনা
চুলের যত্নে মেহেদীর ৪টি অসাধারণ ব্যবহার
চুলের যত্নে মেহেদীর ৪টি অসাধারণ ব্যবহার-
১/চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে মেহেদীঃ
ঘন কালো উজ্জ্বল চুল পেতে কার না মন চায়। কিন্তু আবাহাওয়ার বিরূপ অবস্থা
এবং কাজের ব্যস্ততার জন্য চুলের দিকে খেয়াল রাখার সময় হয় না কারোরই। কিন্তু
মেহেদী পাতা ব্যবহারে খুব সহজেই পেতে পারেন স্বাস্থ্যোউজ্জ্বল ঘন কালো
চুল।
চুলের যত্নে মেহেদীর ৪টি অসাধারণ ব্যবহার
কাপ পরিমাণ মেহেদী পাতা বাটা, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ২/৩ টেবিল চামচ টক
দই মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর শুধু পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন।
পরের দিন শ্যাম্পু করে চুল ধবেন। মাসে মাত্র ২ বার ব্যবহার করুন চুলে
মেহেদী পাতা। দেখবেন চুল অনেক ঘন এবং কালো হয়ে গিয়েছে।
>২/চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা রোধে মেহেদীঃমেহেদী চুলের জন্য কন্ডিশনারের কাজ করে চুলের রুক্ষতা এবং চুলের আগা ফাটা রোধ করে।
প্রণালিঃ< কাপ মেহেদী পাতা বাটার সাথে ২/৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টি ভিটামিন ই ট্যাবলেট মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগান এই মিশ্রণটি। ১ ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করে। স্পতাহে ১ দিনের ব্যাবহারে চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা একেবারে বন্ধ হবে।
৩/সাদা চুল ঢেকে ফেলুন মেহেদী ব্যবহারেঃ মেহেদী সাদা চুলের জন্য অসাধারণ হেয়ার কালারের কাজ করে। অনেকের অল্প বয়েসেই মাথার চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। তারা নিয়মিত মেহেদী পাতা ব্যবহার করলে চুলের সাদাটে ভাব দূর করতে পারবেন।
প্রনালিঃপ্রথমে ২ টেবিল চামচ আমলকী গুঁড়ো ১ কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে দিয়ে এতে রঙ চা দিন ১ চা চামচ এবং ২ টি লবঙ্গ। এবার এই পানিতে পরিমাণ মত মেহেদী পাতা বাটা ব্যবহার করে থকথকে পেস্টের মত তৈরি করুন। এই পেস্টটি চুলে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। ২ ঘণ্টা পরে চুল সাধারণ ভাবে ধুয়ে ফেলুন। সাদা চুল ঢেকে যাবে সহজেই।
৪/খুশকি দূর করতে মেহেদী পাতাঃ
খুশকির সমস্যায় কম বেশি সকলেই পরে থাকেন। এই নিয়ে বেশ হীনমন্যতায় ও পরেন অনেকে। এই সমস্যার সমাধান করবে মেহেদী।
প্রণালিঃমেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন বেটে নিন। পরিমাণ মত সরিষার তেল গরম করে এতে মেহেদী পাতা ফেলে দিন। ঠাণ্ডা হলে এই তেলে মেথি বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে লাগান। ২ ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি মুক্ত হবে চুল খুব দ্রুত।
>২/চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা রোধে মেহেদীঃমেহেদী চুলের জন্য কন্ডিশনারের কাজ করে চুলের রুক্ষতা এবং চুলের আগা ফাটা রোধ করে।
প্রণালিঃ< কাপ মেহেদী পাতা বাটার সাথে ২/৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টি ভিটামিন ই ট্যাবলেট মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগান এই মিশ্রণটি। ১ ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করে। স্পতাহে ১ দিনের ব্যাবহারে চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা একেবারে বন্ধ হবে।
৩/সাদা চুল ঢেকে ফেলুন মেহেদী ব্যবহারেঃ মেহেদী সাদা চুলের জন্য অসাধারণ হেয়ার কালারের কাজ করে। অনেকের অল্প বয়েসেই মাথার চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। তারা নিয়মিত মেহেদী পাতা ব্যবহার করলে চুলের সাদাটে ভাব দূর করতে পারবেন।
প্রনালিঃপ্রথমে ২ টেবিল চামচ আমলকী গুঁড়ো ১ কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে দিয়ে এতে রঙ চা দিন ১ চা চামচ এবং ২ টি লবঙ্গ। এবার এই পানিতে পরিমাণ মত মেহেদী পাতা বাটা ব্যবহার করে থকথকে পেস্টের মত তৈরি করুন। এই পেস্টটি চুলে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। ২ ঘণ্টা পরে চুল সাধারণ ভাবে ধুয়ে ফেলুন। সাদা চুল ঢেকে যাবে সহজেই।
৪/খুশকি দূর করতে মেহেদী পাতাঃ
খুশকির সমস্যায় কম বেশি সকলেই পরে থাকেন। এই নিয়ে বেশ হীনমন্যতায় ও পরেন অনেকে। এই সমস্যার সমাধান করবে মেহেদী।
প্রণালিঃমেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন বেটে নিন। পরিমাণ মত সরিষার তেল গরম করে এতে মেহেদী পাতা ফেলে দিন। ঠাণ্ডা হলে এই তেলে মেথি বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে লাগান। ২ ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি মুক্ত হবে চুল খুব দ্রুত।
Sunday, September 27, 2015
স্ট্রোকের কারণ হতে পারে জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল!
জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল মানব শরীরে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে যেসব মহিলা ধূমপান করেন কিংবা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে অথবা মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ খুবই ক্ষতিকর। আমেরিকায় গবেষকদের এক গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। যদিও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মহিলারা যাদের স্ট্রোক হওয়ার অন্যান্য ঝুঁকি নেই তাদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি খুবই কম।
‘লয়োলা ইউনিভার্সিটি শিকাগো স্ট্রিচ স্কুল অব মেডিসিন’ এর গবেষকদলের সহ গবেষক মারিসা ম্যাকগিনলি জানিয়েছেন, “যেসব মহিলা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ধরনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ওষুধ না খাওয়াই উচিৎ বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তবে বিভিন্ন কারণে স্ট্রোক হতে পারে। তবে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কারণে স্ট্রোক হয়। ঝুঁকিতে থাকা মহিলারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ করলে এ ধরনের স্ট্রোকের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। তবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে যে ধরনের স্ট্রোক হয় সেটি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার কারণে সাধারণত হয় না।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ১০ কোটির বেশি মহিলা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছেন কিংবা কখনও খেয়েছেন বলে ওই গবেষণাতে উঠে এসেছে।
ব্রণ প্রতিরোধ করবে যে ৫টি খাবার
ছেলে মেয়ে সবাই ত্বকের যে সমস্যায় সবচেয়ে
বেশি ভুগে থাকেন, তা হল ব্রণ। ব্রণ এমন একটি সমস্যা যা ত্বকের উজ্জ্বলতা
নষ্ট করে দেয়। শুধু তাই নয় ব্রণের কালো দাগ সহজে ত্বক থেকে দূরও হতে চায়
না। এই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। কত দামি
দামি প্রসাধনী না ব্যবহার করি। কত রকমের রূপচর্চা করে থাকি। তাও মুক্তি
মেলে না ব্রণের হাত থেকে। রূপচর্চা করার পাশাপাশি কিছু খাবার খাওয়া উচিত
ব্রণের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য। এই খাবার গুলো ভিতর থেকে ব্রণ প্রতিরোধ
করে থাকে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ব্রণ প্রতিরোধ করে থাকে এমন কিছু
খাবারের নাম।
বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মাছ! (ভিডিও)
উঁচু পাহাড় থেকে গার্লফ্রেন্ডকে ঠেলে দিল বয়ফ্রেন্ড-তারপর!!! (দেখুন ভিডিও)
থানায় ঢুকে তরুণীর মদ্যপান [ভিডিও]
উঁচু পাহাড় থেকে গার্লফ্রেন্ডকে ঠেলে দিল বয়ফ্রেন্ড-তারপর!!! (দেখুন ভিডিও)
থানায় ঢুকে তরুণীর মদ্যপান [ভিডিও]
১। মাছ
ব্রণ প্রতিরোধ করে এমন খাবারগুলোর মধ্যে
মাছ অন্যতম। মাছে আছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড যা
ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই এসিড আমাদের দেহের ইনফ্লামমেশন দূর করে ত্বক
পরিষ্কার করে থাকে। যা ব্রণ হবার প্রবণতা হ্রাস করে থাকে।
২। বাদাম
বাদামে সেলিয়াম, ভিটামিন ই, কপার,
ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন আছে। যা ত্বক সুস্থ রাখার পাশাপাশি ব্রণ
হওয়ার রোধ করে থাকে। বাদাম বিশেষ করে কাজুবাদাম ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে
রক্ষা করে থাকে। প্রতিদিন কিছু পরিমাণে বাদাম খাওয়া অভ্যাস আপনাকে দিবে
ব্রণ মুক্ত স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ত্বক।
৩। লাল আঙ্গুর
আঙ্গুর আমাদের সবার অনেক পছন্দের ফল। লাল
আঙ্গুরে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের প্রদাহ রোধ করে ব্রণ হওয়ার
প্রবণতা কমিয়ে থাকে। শুধু লাল আঙ্গুর না এর বীচিও অনেক বেশি পুষ্টিদায়ক।
এছাড়া লাল আঙ্গুর ত্বকের অ্যালার্জি রোধ করে থাকে।
৪। রসূন
ওজন কমাতে বা হার্ট সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে
রসূনের গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই রসূন যে ব্রণ রোধ করতে
সাহায্য করে থাকে তা কি আমরা জানি? রসূনে আমাদের দেহের ইনফ্লামামেশন দূর
করে ব্রণ প্রতিরোধ করে থাকে। রসূনে “এলিসিন” নামক উপাদান আছে যা আমাদের
দেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ত্বকের সমস্যাও দূর করে থাকে।
৫। ব্রকলি
নিখুঁত ত্বক পেতে ব্রকলির জুড়ি নেই। এতে
ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং ভিটামিন কে আছে। এই অ্যান্টিআক্সিডেন্ট ত্বকের
র্যাডিকেল সংক্রান্ত ক্ষতি দূর করে ত্বককে নিয়ে আসে একটা আলাদা উজ্জ্বলতা।
এসকল খাবারে পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি
পান করতে হবে। দুধ চায়ের বদলে খেতে পারেন গ্রীণ টি। এটি আপনার ওজন কমানোর
পাশাপাশি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে থাকে।
বেস্ট সেক্স কত মিনিটের হওয়া উচিত?
|
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা এক সমীক্ষাতে জানিয়েছেন বেস্ট সেক্সুয়াল
ইন্টারকোর্স 7-13 মিনিটের মধ্যে হয়৷ সমীক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে সাধারণত
3 মিনিটের সেক্স পর্যাপ্ত সময় হয়৷
এই সমীক্ষা করা হয়েছিল পেনিট্রেটিব সেক্সের জন্য আদর্শ সময় কী এটা বের করার জন্য৷ আমেরিকা ও কানাডার লোকেদের উপর সমীক্ষাতে রায় পাওয়া গিয়েছে 7-13 মিনিটের মত সময় সবচেয়ে বাঞ্ছনীয় হয়৷ সমীক্ষাতে আরও জানা গিয়েছে ইন্টারকোর্স চলার সময় 3-7 মিনিট আদর্শ৷
সেক্সের জন্য এর থেকে কম সময়কে ‘সবচেয়ে কম সময়’ ও 13 মিনিটের অধিক সময়কে ‘বেশি লম্বা’ বলা হয়েছে৷ এই সমীক্ষা ‘শান্ত স্বভাবের’ জুড়ির পক্ষে আদর্শ যারা বুঝতে পারে স্বাস্থ্যকর সেক্স অনেকক্ষণ সময় ধরেই চলা উচিত৷
সমীক্ষক দলের আরও মন্তব্য, পুরুষদের ক্ষেত্রে সেক্সের সময় পুরুষদের লিঙ্গ কঠোর, বড় হতে হবে এবং পুরো রাত যেন সেটা সেক্সুয়াল কার্যকারিতা জন্য তৈরি থাকতে পারে৷ এই সমীক্ষার ফলে যাদের সেক্স নিয়ে মনে ভয় ও অসুরক্ষা ভাবনা আছে তারা সাহায্য পাবে বলে জানানো হয়েছে৷
এই সমীক্ষাতে আরও জানা গিয়েছে বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ার পুরুষরা সেক্সের জন্য বেশিক্ষণ সময় চায় সেখানে অস্ট্রেলিয়ান মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু এসে যায় না সেক্সের সময় তাডাতাড়ি শেষ হল না দেরী হল৷ সাধারণত বেশিরভাগ মহিলারা 7-13 মিনিট পর্যন্ত চলা সময়টাতেই খুশী থাকে, সেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এরকম কিছু থাকে না৷
এই সমীক্ষা করা হয়েছিল পেনিট্রেটিব সেক্সের জন্য আদর্শ সময় কী এটা বের করার জন্য৷ আমেরিকা ও কানাডার লোকেদের উপর সমীক্ষাতে রায় পাওয়া গিয়েছে 7-13 মিনিটের মত সময় সবচেয়ে বাঞ্ছনীয় হয়৷ সমীক্ষাতে আরও জানা গিয়েছে ইন্টারকোর্স চলার সময় 3-7 মিনিট আদর্শ৷
সেক্সের জন্য এর থেকে কম সময়কে ‘সবচেয়ে কম সময়’ ও 13 মিনিটের অধিক সময়কে ‘বেশি লম্বা’ বলা হয়েছে৷ এই সমীক্ষা ‘শান্ত স্বভাবের’ জুড়ির পক্ষে আদর্শ যারা বুঝতে পারে স্বাস্থ্যকর সেক্স অনেকক্ষণ সময় ধরেই চলা উচিত৷
সমীক্ষক দলের আরও মন্তব্য, পুরুষদের ক্ষেত্রে সেক্সের সময় পুরুষদের লিঙ্গ কঠোর, বড় হতে হবে এবং পুরো রাত যেন সেটা সেক্সুয়াল কার্যকারিতা জন্য তৈরি থাকতে পারে৷ এই সমীক্ষার ফলে যাদের সেক্স নিয়ে মনে ভয় ও অসুরক্ষা ভাবনা আছে তারা সাহায্য পাবে বলে জানানো হয়েছে৷
এই সমীক্ষাতে আরও জানা গিয়েছে বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ার পুরুষরা সেক্সের জন্য বেশিক্ষণ সময় চায় সেখানে অস্ট্রেলিয়ান মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু এসে যায় না সেক্সের সময় তাডাতাড়ি শেষ হল না দেরী হল৷ সাধারণত বেশিরভাগ মহিলারা 7-13 মিনিট পর্যন্ত চলা সময়টাতেই খুশী থাকে, সেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এরকম কিছু থাকে না৷
Wednesday, September 16, 2015
খুব সহজ উপায়ে মাত্র ১ সপ্তাহেই পেয়ে যান গোলাপি কোমল ঠোঁট!
সুন্দর একটি হাসির জন্য প্রয়োজন সুন্দর গোলাপি এক জোড়া ঠোঁটের। সুন্দর গোলাপি ঠোঁট আপনার সৌন্দর্য অনেকখানি বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু এই ঠোঁট বিভিন্ন কারণে কালো হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রেই। অনেকের প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট কালো থাকে। তাছাড়া সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি, ধূমপান, অতিরিক্ত লিপস্টিকের ব্যবহার বিভিন্ন কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। কালো ঠোঁট গোলাপি করার জন্য বাজারে রয়েছে নানা কসমেটিকস। তবে এ সকল কসমেটিকসের রয়েছে নানান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তাহলে এখন উপায়? উপায় রয়েছে হাতের নাগালেই, আপনি চাইলে মাত্র ১ সপ্তাহেই ঠোঁটের রঙ গোলাপি করে তুলতে পারবেন। আসুন জেনে নিই সেই সহজ জাদুকরী উপায়টি।
যা যা লাগবে
বিটগাজর
মধু
অলিভ ওয়েল
যেভাবে গোলাপি ঠোঁটের জেলটি তৈরি করবেন
-সমপরিমাণ বিট এবং গাজর নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেষ্ট করে নিন। এবার এতে ২ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ অলিভ অয়েল মেশান। পেষ্টের সাথে ভাল করে মধু ও অলিভ অয়েল মেশাবেন।যেভাবে ব্যবহার করবেন
- -একটি ছোট তুলোর বল নিন।
- -এবার বলটি-বিট গাজরের মিশ্রণে ভিজিয়ে নিন। তারপর ভেজানো তুলোর বলটি আলতোভাবে ঠোঁটের ওপরে লাগান।
- -এটি দিনে দুইবার ব্যবহার করুন। একবার সকালে, আরেকবার রাতে ঘুমাতে যাওয়া আগে।
- -সম্ভব হলে এটি সারা রাত ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ঠোঁটের শুষ্কতা ও দাগছোপ দূর করে ঠোঁটকে গোলাপি করে তুলবে।
- -যদি আপনার ঠোঁটের চারপাশে অনেক বেশি কালো থাকে তবে এই মিশ্রণটিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে দিতে পারেন। লেবুর রস কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
- -আপনি চাইলে এটি বানিয়ে ফ্রিজে ১০ থেকে ১২ দিন পর্যন্ত রেখে দিতে পারেন। তবে খুব বেশি দিন না রাখাই ভাল।
যেভাবে কাজ করে
গাজরে আছে বিটা ক্যারাটিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,ভিটামিন যা ত্বকের রুক্ষতা দূর করে থাকে। ত্বককে করে তোলে আরও স্বাস্থ্যকর, আরও সুন্দর। বিট হচ্ছে প্রাকৃতিক রঙ, যা ঠোঁটকে গোলাপি রং হতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ঠোঁটকে কোমল করে তোলে। মধু ও অলিভ ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজড করে তোলে, এর রুক্ষতা দূর করে থাকে।নিয়মিত এক সপ্তাহ ব্যবহারে আপনার ঠোঁট আগের চাইতে অনেকটা নরম ও গোলাপি হয়ে উঠবে।সুস্বাস্থ্যের জন্য লবঙ্গ, শসা এবং সাইক্লিংয়ের উপকারিতা
সুস্বাস্থ্যের জন্য লবঙ্গ, শসা এবং সাইক্লিংয়ের উপকারিতা
সুস্বাস্থ্যের জন্য লবঙ্গ, শসা এবং সাইক্লিংয়ের উপকারিতা অনেক। নিচে এসবের মধ্য থেকে কিছুকিছু উল্লেখ করা হলো-
লবঙ্গের গুণাবলী
০ সর্দি-কাশিতে লবঙ্গ খুব উপকারি
০ প্রাকৃতিক মুখগহ্বর পরিষ্কারকারক
০ বমি ভাব কমিয়ে দেয়
০ বদ হজম দূর করে
০ পেট ফাঁপা কমায়
০ মুখগহ্বরের ক্ষত কমায়
০ দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির রক্তক্ষরণ কমায়
০ উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
০ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
০ এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে
০ সর্দি-কাশিতে লবঙ্গ খুব উপকারি
০ প্রাকৃতিক মুখগহ্বর পরিষ্কারকারক
০ বমি ভাব কমিয়ে দেয়
০ বদ হজম দূর করে
০ পেট ফাঁপা কমায়
০ মুখগহ্বরের ক্ষত কমায়
০ দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির রক্তক্ষরণ কমায়
০ উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
০ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
০ এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে
শসার ১০ উপকারি
১. অস্থিসন্ধির ব্যথা দূর করে
২. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে
৪. ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে
৫. ক্যান্সারবিরোধী
৬. ব্রণ দূর করে
৭. চোখের নিচে কালি ও ফোলা দূর করে
৮. ত্বক মসৃণ করে
৯. মাথাযন্ত্রণা দূরে রাখে
১০. শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে পানি সরবরাহ করে
১. অস্থিসন্ধির ব্যথা দূর করে
২. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে
৪. ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে
৫. ক্যান্সারবিরোধী
৬. ব্রণ দূর করে
৭. চোখের নিচে কালি ও ফোলা দূর করে
৮. ত্বক মসৃণ করে
৯. মাথাযন্ত্রণা দূরে রাখে
১০. শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে পানি সরবরাহ করে
সাইক্লিংয়ের উপকারিতা
* স্ট্রেস কমায়
* ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়
* উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়
* মাংস পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে
* শক্তিশালী হৃদপিন্ড ও বড় ফুসফুস সৃষ্টি করে
* শক্ত হাড় তৈরি করে
* মেদবিহীন সরু পা তৈরি করে
* হাঁটার চেয়ে গতিময় হয়ে ওঠে
* পৃথিবীটাকে দেখতে শেখে অন্য চোখে
* শব্দদূষণ নেই/নেই বায়ুদূষণ
* মেদ গলায়ে সাইক্লিং, পেট্রোল লাগে না
* রাস্তার বিপত্তি কম। অ্যাক্সিডেন্টে মানুষ বা জন্তু মরে না
* পকেটে পয়সা জমে
* স্ট্রেস কমায়
* ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়
* উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়
* মাংস পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে
* শক্তিশালী হৃদপিন্ড ও বড় ফুসফুস সৃষ্টি করে
* শক্ত হাড় তৈরি করে
* মেদবিহীন সরু পা তৈরি করে
* হাঁটার চেয়ে গতিময় হয়ে ওঠে
* পৃথিবীটাকে দেখতে শেখে অন্য চোখে
* শব্দদূষণ নেই/নেই বায়ুদূষণ
* মেদ গলায়ে সাইক্লিং, পেট্রোল লাগে না
* রাস্তার বিপত্তি কম। অ্যাক্সিডেন্টে মানুষ বা জন্তু মরে না
* পকেটে পয়সা জমে
গলব্লাডার যখন অসুস্থ হয়
গলব্লাডার
একটা ছোট্ট নাশপাতি আকৃতির অঙ্গ যা কিনা লিভারের নীচে অবস্থান করে। শরীরের
জন্য অতি প্রয়োজনীয় বাইল বা পিত্ত নি:সরণ করে এই অঙ্গটি। একারণে এর নামকরণ
করা হয়েছে পিত্তথলি। এই পিত্তথলি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন নানা জটিলতা
দেখা দিতে পারে। আর গলব্লাডারে পাথর হলে অপারেশন ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।
কি কারণে গলব্লাডারে পাথর হয় এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। গলব্লাডারের
সমস্যা ও করণীয় সম্পর্কে বিশিষ্ট ল্যাপারোসড়পিক সার্জন উত্তরা আধুনিক
মেডিক্যাল কলেজ ও ধানমন্ডিস্থ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীফ হাসপাতালের
সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডা: সরদার এ নাঈম বলেন, কি কারণে গলব্লারের পাথর
হয় এর কোন বৈজ্ঞানিক যুক্ত নেই। এমনকি সুপারি জাতীয় খাদ্য ও তৈলাক্ত
খাবারের সঙ্গেও এর কোন সম্পর্ক নেই। তবে পুরুষের চেয়ে মধ্যবয়সী মহিলাদের
গলস্টোন বেশী হয়, শরীরের বেশী ওজন, গর্ভাবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রণের খাবার বড়ি,
হরমোন থেরাপি, দ্রুত ওজন হ্রাস, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের আধিক্যসহ নানা
কারণে গলস্টোনের ঝুঁকি বাড়ে। যাদের গলব্লাডারে পাথর হয়
তাদের অপারেশন করাই ভালো। অন্যথায় ছোট
পাথর কনা গলব্লাডার থেকে বেরিয়ে পিত্তনালীতে জমে ব্লক সৃষ্টি করতে পারে।
এতে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। তাই গলব্লাডারের সমস্যা কখনই ছোট করে
দেখা উচিত নয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে গলস্টোন হলে কোন ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়না।
অনেক ক্ষেত্রে গলস্টোনের কারণে পিত্তনালী ব্লক হলে তখন নানা জটিলতা দেখা
দিতে পারে। ডা: সরদার নাঈমের মতে গলব্লাডারের পাথর বা গলব্লাডারের সমস্যা
প্রতিরোধের কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেই। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণ, রক্তের চর্বি বা
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা ভালো। এছাড়া চল্লিশোর্ধ পুরুষ ও মহিলারা বছরে
অন্তত:একবার আলট্রাসনোগ্রাম ও লিভার ফাংশন টেস্ট করতে পারেন। এদিকে অনেকে
মনে করেন গলব্লাডার অপসারণের ফলে কোন ক্ষতি হয় কিনা। বিশেষজ্ঞদের মতে
গলব্লাডার ফেলে দেয়া হলে স্বাভাবিক জীবন যাপনে কোন সমস্যা হয়না।
গলব্লাডার ছাড়াই আমরা সুস্থ স্বাভাবিক
থাকতে পারি। তবে যখনই গলব্লাডারের সমস্যা ধরা পড়বে তখনই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ
চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত। অন্যথায় ক্ষেত্র বিশেষ বিপদ হবার আশংকা
থাকে।
নখ অসুখের কথা জানান দেবে!
অনেক
উন্নত হয়েছে বর্তমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করেই
চিকিৎসকরা বুঝে নিতে পারেন সঠিক রোগটি কী। কিন্তু প্রাচীনকালে চিকিৎসকদের
কাছে এত পরীক্ষার সুযোগ থাকত না। তখন তারা বিভিন্ন শারীরিক লক্ষণের ওপরে
নির্ভর করে চিকিৎসা করতেন। এ রকমই আঙুলের নখ দেখে চিকিৎসা করা হতো চীনে।
দেখে নিন নখের কোন লক্ষণ কোন রোগের ইঙ্গিত দেয়।
প্রথমত, আঙুলের মাংস থেকে নখ পৃথক হয়ে
আসা। জীবাণুর সংক্রমণ, থাইরয়েড রোগ, ড্রাগ রিয়েকশন, নখ অস্বাভাবিক শক্ত
হওয়া প্রভৃতি সমস্যায় এ রকম হতে পারে। দ্বিতীয়ত, নখ হলুদ হওয়া। এটা জন্ডিস,
ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা বা হাতফোলা রোগের আভাস দেয়।
তৃতীয়ত, চামচ আকৃতির নখ। শরীরে আয়রনের অভাব ও রক্তশূন্যতায় এমনটা হয়।
চতুর্থত, নখের অস্বাভাবিক বক্রতা। এর কারণ
হতে পারে হৃদরোগ, রক্তে অক্সিজেনের স্বল্পতা, কার্ডিওভাসকুলার রোগ বা
লিভারের রোগের মতো জটিল রোগ। পঞ্চমত, নখ যদি হয় অস্বচ্ছ। এর কারণ হয়তো
অপুষ্টি, হৃদক্রিয়ার সমস্যা, ডায়াবেটিস বা যকৃতের রোগ।
সুন্দর দাঁতের জন্য করণীয়!
সুন্দর দাঁতের জন্য করণীয়!
সবারই কাম্য একটি সুন্দর
মুখ। এই সুন্দর মুখের জন্য আমাদের অনেক পরিকল্পনা। সুন্দর চেহারা বলতে
সুস্থ সুন্দর চোখ, নাক, ঠোঁট এবং সেই সাথে উজ্জ্বল মজবুত দাঁতকে বুঝায়।
সুন্দর হাসি ও আকর্ষণীয় ব্যাক্তিত্বের জন্য উজ্জ্বল, রোগমুক্ত দাঁতের
গুরুত্ব অপরিসীম।
সঠিক সময়ে যত্নের অভাবে দাঁতে আক্রমণ করে
রোগ-জীবানু ও বিভিন্ন রকমের অসুখ। তখন অকালে দাঁত ও দাঁতের মাড়ি হয়ে ওঠে
কালচে, ভঙ্গুর ও হলদে রংয়ের। যা খুবই বিশ্রী দেখায়।
সামান্য সচেতনতা ও যত্ন আমাদেরকে বাঁচাবে
দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা থেকে। তই ছোট বেলা থেকেই দাঁতের যত্ন নিন। আপনার
চেহারা, হাসি ও ব্যক্তিত্বকে করে তুলুন আরো বেশি আকর্ষণীয়।
পরিচর্যাসমূহ:
১। প্রতিদিন সকাল ও রাতে (ঘুমানোর আগে) ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করা উচিত।
২। খাবারে চর্বি, পনির বা ক্রিম থাকলে
অবশ্যই ব্রাশ করে কয়েকবার কুলি করা উচত। কারণ চর্বি ও শর্করাযুক্ত খাবার
দাঁতের ফাঁকে জমে দাঁতকে দ্রুত ক্ষয় করে। দাঁতের উপরিভাগে খাদ্যকণা মিশ্রিত
তেল জমে দাঁতের মসৃণতা নষ্ট করে।
৩। খাবার পানি ফুটিয়ে পান করা উচিত। ফুটানো সম্ভব না-হলে নলকূপের পানি সংগ্রহ করুন।
৪। একটা বস্তুকে মুক্ত বাতাসে যেভাবে
ব্রাশ করা সম্ভব সেভাবে ব্রাশ দিয়ে জিকজ্যাক পদ্ধতিতে (উপরে, নিচে, ভেতরে,
বাইরে) পরিষ্কার করতে হবে।
৫। ব্রাশের সমান্তরাল স্টিকের পরিবর্তে বাঁকা হওয়া দরকার। এতের মুখের ভেতরের দাঁতগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার হবে।
৬। বাঁকা দাঁতে ময়লা জমে বেশি, তাই দীর্ঘ
সময় ধরে ব্রাশ করা উচিত। অনেক সময় একই স্থান থেকে দুটো দাঁত গজায়।
অপারেশনের মাধ্যমে একটা দাঁত তুলে ফেলা যায় বা সমান্তরালহীন দাঁতগুলোকে
সারিবদ্ধতায় আনা যায়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭। দাঁতের ফাঁকের ময়লাগুলো দীর্ঘদিন ধরে
জমে ক্ষুদ্র পাথর কণায় পরিণত হয়। তখন দাঁতের উপরিভাগে কালো দাগ পড়ে। এটা
ভীষণ দৃষ্টিকটু দেখায়। এ জন্য প্রতি ছয় মাস পরপর দাঁতের স্কেলিং করানো
উচিত। বয়স ৪০-এর উর্ধ্বে হলে এক বছর পরপর করাতে হবে। নতুবা স্কেলিংয়ে
ব্যবহৃত ইলেকট্রিক যন্ত্রের ফলে দাঁতের গোড়া দূর্বল হয়ে যাবে। কারণ বয়সের
সঙ্গে সঙ্গে দাঁতের মাড়িও ক্ষয় হতে থাকে।
৮। প্রতি পাঁচ মাস পর ব্রাশ পরিবর্তন
করুন। সম্ভব হলে একই সঙ্গে সমান্তরাল ও বাঁকা দন্ডের ব্রাশ ব্যবহার করুন।
প্রতি মাসে দুটো ব্রাশকে এক ফোঁটা স্যাভলন বা ডেটল মিশ্রিত এক বাটি কুসুম
গরম পানিতে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পরে ব্রাশ দুটোকে স্বাভাবিক
পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন, যেন ডেটলের গন্ধ না থাকে। প্রয়োজনে টুথপিক
দিয়ে ব্রাশের গোড়া পরিষ্কার করুন। ধুলোবালি, পোকা-মাকড় থেকে রক্ষার জন্য
ঢাকনাযুক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন।
৯। অনেকের সারিবদ্ধ দাঁতের মধ্যে যেকোনো
একটি বা দুটি দাঁত থাকে ত্রুটিযুক্ত হলুদ। এ জন্য কোনো প্রসাধনীর পরিবর্তে
দ্রুত চিকিৎসের শরণাপন্ন হোন।
১০। দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধির জন্য অনেকেই
খাবার সোডা ব্যবহার করেন। পারতপক্ষ সোডা পরিহার করুন। সোডায় ক্ষার থাকে।
সেটা দাঁতের কোমল মাড়ির জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় দাঁতের অতি সংবেদনশীল মাড়ি
পুড়ে লাল হয়ে যায়। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে যা দেখতে জমাটবদ্ধ রক্তের মতো দেখায়।
১১। দাঁদের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধির জন্য
মাঝেমধ্যেই মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলি করুন। মাউথ ওয়াশ না-থাকলে হাফ চা চামচ
খাবার লবণ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। প্রতিদিন লেবু বা কোনো টক ফল খান।
ক্যালসিয়ামের অভাবেও দাঁতের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়। এ জন্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ
শাক-সবজি খান।
১২। অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানীয় দাঁতের
জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। দুটো পানীয় একই সঙ্গে গ্রহণ করা অনুচিত। খুব গরম চা বা
কফি পানের অন্তত ১ ঘন্টা পরে স্বাভাবিক পানি পান করুন।
১৩। অনেকেই বিভিন্ন গাছের দাঁতন ব্যবহার
করে থাকেন। এতে মনোযোগী হতে হবে যেন দাঁতনের আঁশ দাঁতের দাঁতের গোড়ায় আটকে
না থাকে। টুথপিক ব্যবহারে মাড়িতে ফুটো হলে ইনফেকশন হয়। তাই সতর্কতার সঙ্গে
টুথপিক ব্যবহার করুন।
১৪। প্রতিষ্ঠিত ব্রান্ডের টুথপেস্ট
ব্যবহার করাই ভালো। টুথপেস্টেও মাঝেমধ্যে পরিবর্তন আনুন। কয়লা, ছাই, মাটি
বা বালু দিয়ে দাঁত মাজা অনুচিত। টুথ পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। হারবাল বা
নিম জাতীয় টুথ পাউডার ব্যবহার করুন। টুথ পাউডার মিহি হওয়ার জন্য প্রতিটি
দাঁতের ফাঁকে পৌঁছায়, যা দাঁতের পুষ্টি জোগায়। মাঝেমধ্যে আঙুল দিয়ে টুথ
পাউডার ব্যবহারে মাড়ির বিশ্রাম হয়।
১৫। গ্যাসট্রিকের সমস্যা থাকলে মুখে
দুর্গন্ধ হয়। ফলে দাঁতের হলুদাভ আবরণ আসে। নিয়মিত গ্যাসট্রিকে ঠোঁটের দুই
কোণে কালো হয়ে যায়। এ জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন।
১৬। অ্যালকোহল ও ধূমপানে দাঁত কালো হয়ে
যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দাঁতের মাড়িও কালো হয়ে ফুলে যায়। মাড়ির রক্তবাহী
শিরাগুলো মোটা দেখায়, যা সুন্দর হাসির জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই অ্যালকোহল ও
ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
১৭। অনেকের দুটো দাঁতের মাঝে ফাঁকা স্থান
বা ভাঙা দাঁত থাকে। কৃত্রিম উপায়ে চিকিৎসা সম্ভব, এ জন্য চিকিৎসকের
শরণাপন্ন হোন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটা ভিটামিন-সি ট্যাবলেট খান।
১৮। পান, সুপারি, জর্দা বা গুল পরিহার
করুন। এসবে আসক্তি থাকলে খাবার পরে দাঁত ব্রাশ করে ফেলুন। পানে চুনের
পরিমাণ যত কম হয় ততই ভালো। মাত্রাতিরিক্ত চুন দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে।
১৯। বাঁধানো দাঁত বা কৃত্রিম দাঁতের প্রতি বিশেষ যতœ নিন। প্রায়ই (চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী) সেগুলো খুলে পরিষ্কার করুন।
২০। পোস্ট মেনোপোজাল লেডি অর্থাৎ মাসিক
চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে এই ধরণের মহিলাদের দেহে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’র
ঘাটতি হয় প্রচূর পরিমাণে। এই ঘটতির জন্য এই ধরণের নারীদের দাঁতে নানান রকম
সমস্যা হয়। তাই প্রথম থেকেই দাঁতের প্রতি যতœশীল হউন।
২১। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির কল্যাণে কৃত্রিম দাঁত মুখের সাথেই লাগানো থাকে। এই ধরণের দাঁতের প্রতি যত্নশীল হউন।
২২। বছরে অন্তত একবার পুরো দেহের চেক আপ
করান। এতে লুকায়িত কোন রোগ জীবাণু থাকলে ধরা পড়বে। দেহের প্রতিটি অঙ্গ
পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। তাাই সুস্থ্য দাঁত ও সুস্থ্য দেহের জন্য পুরো দেহ
রোগমুক্ত থাকাটা ভীষণ জরুরী।
গ্যাস অম্বলে ভুগছেন? কেন হয় জেনে রাখুন
বাঙালির চির সঙ্গী গ্যাস আর অম্বল। যতই অম্বলে গলা বুক জ্বালা
জ্বালা করুক খাওয়াতে না নেই বাঙালির মুখ। তবে ডাক্তারার বলছেন, শুধুমাত্র
মশলাজাতীয় খাবার খেলেই অম্বল হয় না, অত্যাধিক চিন্তা, ধূমপানেও অম্বল হতে
পারে।
কীভাবে অম্বল, গ্যাস হয়? আমাদের পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড নামে ডাইজেসটিভ ফ্লুড তৈরি হয়। হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড ও সোডিয়াম ক্লোরাইড সংমিশ্রণ এই ফ্লুড। মিউকাস আস্তরণে বাইকার্বনেট ও প্রোস্টাগ্ল্যানডিনস তৈরি হয় খাদ্য হজম করতে। যখন এই রাসয়নিক ক্রিয়া কোনও কারণে ব্যাহত হয় তখন বায়ু দূষণ হয়, গলা বুক জ্বালা জ্বালা করে। মুখের সামনে সুস্বাদু খাবার থাকলেও মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়।
তাই জেনে নিন কী কী কারণে অম্বল ও গ্যাস হয়ে থাকে
১)মানসিক চাপ
২) মশলাজাতীয় খাবার
৩) ধূমপান ও অ্যালকোহল
৪) আলসার, পাকস্থলী টিউমার থাকলে
কীভাবে অম্বল, গ্যাস হয়? আমাদের পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড নামে ডাইজেসটিভ ফ্লুড তৈরি হয়। হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড ও সোডিয়াম ক্লোরাইড সংমিশ্রণ এই ফ্লুড। মিউকাস আস্তরণে বাইকার্বনেট ও প্রোস্টাগ্ল্যানডিনস তৈরি হয় খাদ্য হজম করতে। যখন এই রাসয়নিক ক্রিয়া কোনও কারণে ব্যাহত হয় তখন বায়ু দূষণ হয়, গলা বুক জ্বালা জ্বালা করে। মুখের সামনে সুস্বাদু খাবার থাকলেও মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়।
তাই জেনে নিন কী কী কারণে অম্বল ও গ্যাস হয়ে থাকে
১)মানসিক চাপ
২) মশলাজাতীয় খাবার
৩) ধূমপান ও অ্যালকোহল
৪) আলসার, পাকস্থলী টিউমার থাকলে
গ্যাসের হাত থেকে বাঁচতে দশটি ঘরোয়া উপায়
গ্যাসের সমস্যা ভোগে না এমন লোককে খুঁজে পাওয়া দায়। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত
জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস, অম্বল প্রায় ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনও
ঘরে গেলেই অন্তত গ্যাসের এক পাতা ওষুধ অবশ্যই মিলবে। তবে কী গাদা গাদা
গ্যাসের ওষুধ খেয়েও সমস্যা দূর হয় না। কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি
প্রয়োগ করলে গ্যাস-অম্বলকে দূরে রাখা যায়। প্রাকৃতিক ও সহজে পাওয়া যায় এমন
সব জিনিস দিয়ে গ্যাস, বুক জ্বালা-অম্বল দূরে রাখুন-
কলা-সারাদিনে অন্তত দুটো কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
ঠান্ডা দুধ-পাকস্থলির গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডি দূরে থাকে।
দারুচিনি-হজমের জন্য খুবই ভাল। এক গ্লাস জলে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
মৌরির জল-মৌরি ভিজিয়ে সেই জল খেলে গ্যাস থাকে।
জিরে-জিরে পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
লবঙ্গ- ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
এলাচ-লবঙ্গের মত এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।
পুদিনা পাতার জল-এক কাপ জলে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
আমলা-আমলা টুকরো করে রোদে দিয়ে খান কাজে দেবে। পেটে গ্যাস ও বদহজমজনিত সমস্যা সমাধানে আদা খুব উপকারী। খাবারে আদা যোগ করে বা কিছু পরিমাণ আদা চিবিয়ে রসটুকু গ্রহণ করলে পেটে গ্যাস প্রতিরোধ করা যায়।
আদা-আদা থেতো করে খান দখবেন অম্বল পালিয়েছে।
(এছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন : সরিষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে।)
কলা-সারাদিনে অন্তত দুটো কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
ঠান্ডা দুধ-পাকস্থলির গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডি দূরে থাকে।
দারুচিনি-হজমের জন্য খুবই ভাল। এক গ্লাস জলে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
মৌরির জল-মৌরি ভিজিয়ে সেই জল খেলে গ্যাস থাকে।
জিরে-জিরে পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
লবঙ্গ- ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
এলাচ-লবঙ্গের মত এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।
পুদিনা পাতার জল-এক কাপ জলে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
আমলা-আমলা টুকরো করে রোদে দিয়ে খান কাজে দেবে। পেটে গ্যাস ও বদহজমজনিত সমস্যা সমাধানে আদা খুব উপকারী। খাবারে আদা যোগ করে বা কিছু পরিমাণ আদা চিবিয়ে রসটুকু গ্রহণ করলে পেটে গ্যাস প্রতিরোধ করা যায়।
আদা-আদা থেতো করে খান দখবেন অম্বল পালিয়েছে।
(এছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন : সরিষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে।)
Thursday, September 10, 2015
প্রত্যহ সঙ্গম অনেক রোগের Miracle ওষুধ
রোগ
মুক্তি বা রোদকে দূরে রাখার জন্য আমরা কী না করি! খাওয়া-দাওয়ার
বাধ্যবাধকতা থেকে ওষুধের পাচন সাগ্রহে গিলে ফেলা, অনেকের নিত্যদিনের রুটিন।
তবে ওষুধ ছাড়াই শরীরকে সুস্থ রাখার মোক্ষম দাওয়াই সম্প্রতি একটি গবেষণায়
প্রকাশ পেয়েছ। সপ্তাহে আধ ঘণ্টা করে যৌন সঙ্গম শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে
সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, অনেক রোগ হওয়ার প্রবণতাও অনেকাংশে কমিয়ে দিতে
পারে। সেই রোগের তালিকা থেকে বাদ যায়নি ক্যান্সারও।
ইংল্যান্ডের এক দল চিকিত্সক দীর্ঘ দিন ধরে এ বিষয়ে গবেষণা করছিলেন।
তাঁরা জানান, সপ্তাহে ৫ দিন মোট আড়াই ঘণ্টার যৌন সঙ্গম ক্যান্সার,
ডেমেনশিয়া বা স্মৃতিষক্তি জমিত সমস্যা, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসকে বেশ খানিকটা
দূরে রাখতে সাহায্য করে।সঙ্গম যে মাইগ্রেন বা মাথা যন্ত্রনা উপশমে উপকারি তা আগেই গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে। তবে এই তথ্য গবেষণায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, প্রত্যহ সঙ্গম হৃদরোগ এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতাকে ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। স্মৃতিশক্তির সমস্যাকেও প্রায় ৩০ শতাংশ কম করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, স্তন ক্যান্সার এবং অন্ত্রের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাকে প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
Aerobic Exercise: The Best Weapon Against Belly Fat
In the battle against the
bulge, aerobic exercise is the most effective weapon for defeating stubborn
belly fat and reducing serious health risks. The health benefits from aerobic
exercise go beyond belly fat, however; you can reduce both visceral and liver
fat and improve risk factors for heart disease and diabetes, things that
resistance training fail to deliver.
A new study from Duke University Medical Center researchers found that aerobic exercise provided significant benefits over resistance training. The researchers studied the impact of both aerobic exercise (such as jogging), and resistance training (such as weight lifting), on the reduction of visceral and liver fat found deep within the abdomen that fills spaces between internal organs, and poses a series threat to health. Previous research has linked this type of fat to an increase in risk for developing such illnesses as heart disease and diabetes, as well as certain forms of cancer.
The eight-month study, recently published in the American Journal of Physiology, Endocrinology and Metabolism, involved 196 sedentary and overweight adults who ranged in age from 18 to 70 years. The subjects were assigned to groups who participated either in aerobic exercise, resistance training, or a combination of both.
Subjects in the aerobic exercise group achieved the equivalent of jogging 12 miles weekly at 75 percent of their maximum heart rate, with the use of a treadmill, an elliptical machine, or a stationary bike. Those in the resistance group completed three sets of eight to 12 repetitions three times weekly, while those in the combination group performed amounts of both types of exercise.
A new study from Duke University Medical Center researchers found that aerobic exercise provided significant benefits over resistance training. The researchers studied the impact of both aerobic exercise (such as jogging), and resistance training (such as weight lifting), on the reduction of visceral and liver fat found deep within the abdomen that fills spaces between internal organs, and poses a series threat to health. Previous research has linked this type of fat to an increase in risk for developing such illnesses as heart disease and diabetes, as well as certain forms of cancer.
The eight-month study, recently published in the American Journal of Physiology, Endocrinology and Metabolism, involved 196 sedentary and overweight adults who ranged in age from 18 to 70 years. The subjects were assigned to groups who participated either in aerobic exercise, resistance training, or a combination of both.
Subjects in the aerobic exercise group achieved the equivalent of jogging 12 miles weekly at 75 percent of their maximum heart rate, with the use of a treadmill, an elliptical machine, or a stationary bike. Those in the resistance group completed three sets of eight to 12 repetitions three times weekly, while those in the combination group performed amounts of both types of exercise.
পিরিয়ড সম্পর্কে যে জরুরী কথাগুলো জেনে রাখা উচিত প্রত্যেক নারীর
পিরিয়ড অর্থাৎ মাসিক ঋতুচক্র (Menstruation) নারী জীবনের একটি অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পূর্বে ধারণা করা হতো পিরিয়ড অনেক অপবিত্র একটি বিষয়।
কিন্তু বর্তমানে অনেকের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। কোনো নারীর নিয়মিত পিরিয়ড
হওয়ার অর্থ তিনি স্বাভাবিকভাবে সন্তান ধারণে সক্ষম। কিন্তু আজও নারীদের এই
মাসিক চক্রটি সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছু জানেন না। এবং না জানার কারণে
পিরিয়ড সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভুগে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অনেক
নারীই। তাই নিজেদের প্রতি মাসের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কিত কিছু
জরুরী তথ্য আজ জেনে নিন উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডঃ হালিমা
বেগমের কাছ থেকে।
১) পিরিয়ডের সঠিক সময়
ডঃ হালিমা বেগম জানান, সাধারণত ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে বেশীরভাগ মেয়েদেরই মাসিক এই শারীরিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে যায় এবং ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে পারে। তবে ১৫ বয়সের পরও যদি নিয়মিত পিরিয়ড শুরু না হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। পিরিয়ড সাধারণত ২৮ দিন থেকে শুরু করে ৩০/৩৫ বা ৪০ দিন পরপর পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হওয়া ভালো লক্ষণ। পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয় অর্থাৎ কোনো মাস বাদ চলে যায় এবং ১০-২০ দিন পর পর হতে থাকে তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
২) পিরিয়ডের ব্যপ্তিকাল
বয়স ভেদে এবং শারীরিক গঠনের নানা বিষয়াদি বিবেচনায় ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে পিরিয়ডের সময়কাল। তবে এক্ষেত্রে প্রতি মাসেই যে একই সময়ব্যাপী চলবে তা নাও হতে পারে। আবার খুব বেশি তারতম্য হলেও অবহেলা করা উচিত নয়। যদি খুব দ্রুত অর্থাৎ ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পিরিয়ড শুরু হয়ে যায় তাহলে তা দেহে ফাইবারয়েড, হিমোগ্লোবিনের অভাব বা আয়রনের অভাবের লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে।
৩) পিরিয়ডের সাথে দেহের ফ্যাটের সম্পর্ক
যদি বডি ম্যাস ইনডেক্স অনুযায়ী আপনার দেহের ফ্যাট লেভেল অনেক বেশী কমে যায় তাহলে আপনার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাবে। আপনি যদি একেবারেই ফ্যাট মুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করেন তখন আপনার দেহের মেদ ভাঙতে শুরু করবে দেহের মেটাবোলিক কাজের জন্য এবং এতে করে ধীরে ধীরে ফ্যাট লেভেল কমতে থাকে। যখন তা কমে ৮-১২% এর নিচে নেমে আসে তখন পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেলে দেহের হরমোনের তারতম্যের কারণেও পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় এবং অনিয়মিত পিরিয়ড শুরু হয়।
৪) পিরিয়ডের সময় ব্যথা
পিরিয়ড শুরুর সময় ফ্লো বেশী থাকে যার কারণে অনেক সময় নার্ভে চাপ পড়ে থাকে এবং পিঠের দিকে ও পায়ে ব্যথা অনুভব হয়। যদি অতিরিক্ত ব্যথা এবং সেই সাথে খুব বেশী অস্বস্তি অনুভব হতে থাকে তাহলে তা হরমোনের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে। তবে যদি কখনোই পিরিয়ডের সময় ব্যথা না হয়ে হুট করে ব্যথা শুরু হয় তাহলে তা অবশ্যই অবহেলার নয়। এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত।
১) পিরিয়ডের সঠিক সময়
ডঃ হালিমা বেগম জানান, সাধারণত ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে বেশীরভাগ মেয়েদেরই মাসিক এই শারীরিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে যায় এবং ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে পারে। তবে ১৫ বয়সের পরও যদি নিয়মিত পিরিয়ড শুরু না হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। পিরিয়ড সাধারণত ২৮ দিন থেকে শুরু করে ৩০/৩৫ বা ৪০ দিন পরপর পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হওয়া ভালো লক্ষণ। পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয় অর্থাৎ কোনো মাস বাদ চলে যায় এবং ১০-২০ দিন পর পর হতে থাকে তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
২) পিরিয়ডের ব্যপ্তিকাল
বয়স ভেদে এবং শারীরিক গঠনের নানা বিষয়াদি বিবেচনায় ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে পিরিয়ডের সময়কাল। তবে এক্ষেত্রে প্রতি মাসেই যে একই সময়ব্যাপী চলবে তা নাও হতে পারে। আবার খুব বেশি তারতম্য হলেও অবহেলা করা উচিত নয়। যদি খুব দ্রুত অর্থাৎ ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পিরিয়ড শুরু হয়ে যায় তাহলে তা দেহে ফাইবারয়েড, হিমোগ্লোবিনের অভাব বা আয়রনের অভাবের লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে।
৩) পিরিয়ডের সাথে দেহের ফ্যাটের সম্পর্ক
যদি বডি ম্যাস ইনডেক্স অনুযায়ী আপনার দেহের ফ্যাট লেভেল অনেক বেশী কমে যায় তাহলে আপনার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাবে। আপনি যদি একেবারেই ফ্যাট মুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করেন তখন আপনার দেহের মেদ ভাঙতে শুরু করবে দেহের মেটাবোলিক কাজের জন্য এবং এতে করে ধীরে ধীরে ফ্যাট লেভেল কমতে থাকে। যখন তা কমে ৮-১২% এর নিচে নেমে আসে তখন পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেলে দেহের হরমোনের তারতম্যের কারণেও পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় এবং অনিয়মিত পিরিয়ড শুরু হয়।
৪) পিরিয়ডের সময় ব্যথা
পিরিয়ড শুরুর সময় ফ্লো বেশী থাকে যার কারণে অনেক সময় নার্ভে চাপ পড়ে থাকে এবং পিঠের দিকে ও পায়ে ব্যথা অনুভব হয়। যদি অতিরিক্ত ব্যথা এবং সেই সাথে খুব বেশী অস্বস্তি অনুভব হতে থাকে তাহলে তা হরমোনের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে। তবে যদি কখনোই পিরিয়ডের সময় ব্যথা না হয়ে হুট করে ব্যথা শুরু হয় তাহলে তা অবশ্যই অবহেলার নয়। এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত।
কিশোরী বয়সে স্তন ঝুলে যাওয়ার লক্ষন, কারন ও সমাধান
বয়স বাড়ার সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট কৌনিক মাত্রায় স্তন ঝুলে যাওয়া
স্বাভাবিক, কিন্তু কিশোরী বয়সে স্তন ঢিলা হয়ে যাবার প্রবনতা স্বাভাবিক
শাররীক পরিবর্তনের পর্যায়ে পড়েনা। কিশোরীর স্তন ঝুলে যাবার সম্ভাব্য
কারনগুলোর মধ্যে আছে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া, সন্তান গর্ভধারন, ধুমপান অথবা বংশগত কারনে বড় আকৃতির স্তন থাকা এবং বড় স্তনে প্রয়োজনীয় সার্পোট/সঠিক আকারের ব্রা পরিধান না করা।
লক্ষনসমুহঃ
নারী স্তন অস্থিবন্ধনীতে অবলম্বন করেথাকে; যদি ঐসকল অস্থিবন্ধনী প্রসারিত হয়, পেশীকলার শক্তি হ্রাস পাবার কারনে স্তনের প্রাকৃতিক অবস্থান সাধারনত নিচে নেমে আসে। স্তনবোঁটার স্থানচ্যুতি (স্তনের একদম নিচের দিকেচলে আসা) এবং স্তনের দুই পাশে চামড়া কুচকে যাওয়া থেকেও স্তন ঝুল সহযে অনুমান করা যায়।
কারনঃ
স্তন ঢিলা হয়ে যাবার স্বাভাবিক কারন হলো স্তন অতিরিক্ত বড় এবং ভারী হয়ে যাওয়া, অথবা অপ্রতুল স্তন-সার্পোট। সন্তান জন্মদানের কারনে অর্থাৎ প্রসুতিকালীন সময় স্তনের আকার বড় হয়ে যাওয়া এবং স্তনধারনের কারনে তা ভারী হয়ে যায় এবং ফল স্বরূপ স্তন ঢিলা হয়ে যেতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে সন্তানকে স্তন পান করালে স্তনের আকারে কোন প্রকার পরিবর্তন হয়না। একইসাথে উচ্চ প্রভাব ব্যয়াম যেমন দৌড়ানো, নাচ করা ইত্যাদির সময় যদি স্পোটস ব্রা কিংবা স্তনের পুর্ন অবলম্বনে সামর্থ্য ব্রা ব্যবহার না করা হয় তবে তা থেকে স্তনের ঝুলে যাওয়া সম্ভব!
উপপাদ্য/বিবেচ্য বিষয়ঃ
অনেক নারী চিন্তিত হন – সন্তানকে স্তনদানের সাথে স্তনের ঢিলা হয়ে যাবার সম্পর্ক আছে কিনা? কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে স্তনদানের সাথে স্তনের আকার এবং গঠনের পরিবর্তনের কোন প্রকার নেগেটিভ সম্পর্ক নেই। মাইয়োক্লিনিক ওয়েবসাইটের মতে প্রসুতিকালীন স্তন ঝুলার কারন হলো হঠাৎ স্তনের আকার পরিবর্তন এবং পরবতীতে তা আবার স্বল্প সময় ব্যবধানে কমে যাওয়া।
নিবারণ/সমাধানঃ
কিশোরী বয়সে স্তনের ঝুলে যাওয়া রোধে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন স্তনেরঅস্থিবন্ধনী প্রসারীত না হয় এবং স্তন চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট নাহয়। যেহেতু প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ধুমপান চামড়ার স্থিতিস্থপকতা দুর্বল করে দেয় তাই ধুমপায়ীর তুলনায় অধুমপায়ী নারীর স্তন শিথিলতার প্রবনতা কম। স্বাস্থ্যকর শাররীক ওজন রক্ষা করা এবং উচ্চ-প্রভাব ব্যয়াম এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনে পর্যাপ্ত স্তন সার্পোট স্তনের ঝুলে যাওয়া প্রতিহত করতে পারে। ‘মেডিসিন ইন স্পোর্টস এন্ড এক্সসেরসাইজ‘ জার্নাল এর জুলাই ২০১০ সংখ্যায় ছাপা এক প্রতিবেদনে বলা হয় – যে সকল স্পোর্টস ব্রা ক্রিয়াকালীন অধিক ওজনের স্তনকে সম্পুর্ন উত্তোলন এবং চেপে রাখতে সক্ষম তা নারীর অস্বস্তির সাথে সাথে স্তনের আকার/গঠনপরিবর্তন প্রতিহত করে।
সাবধানতাঃ
স্তনের আকার/গঠনে যেকোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন এবং স্তনবোঁটার স্থান, আকার কিংবা গঠন পরিবর্তন হয়তো অন্যকোন কঠিন সমস্যার পুর্বাবাশ হতে পারে। আপনার উচিত স্তনের মাসিক স্ব-পর্যবেক্ষন করা। যেকোন হঠাৎ পরিবর্তন লিপিবদ্ধ করুন। আপনার স্তনের আকার সম্পর্কে কোন প্রকার অস্বাভাবিকতা আঁচ করলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে অস্বস্তি করবেন না। কারন লজ্জার কারনে সমস্যা প্রকটতা পেতে পারে।
লক্ষনসমুহঃ
নারী স্তন অস্থিবন্ধনীতে অবলম্বন করেথাকে; যদি ঐসকল অস্থিবন্ধনী প্রসারিত হয়, পেশীকলার শক্তি হ্রাস পাবার কারনে স্তনের প্রাকৃতিক অবস্থান সাধারনত নিচে নেমে আসে। স্তনবোঁটার স্থানচ্যুতি (স্তনের একদম নিচের দিকেচলে আসা) এবং স্তনের দুই পাশে চামড়া কুচকে যাওয়া থেকেও স্তন ঝুল সহযে অনুমান করা যায়।
কারনঃ
স্তন ঢিলা হয়ে যাবার স্বাভাবিক কারন হলো স্তন অতিরিক্ত বড় এবং ভারী হয়ে যাওয়া, অথবা অপ্রতুল স্তন-সার্পোট। সন্তান জন্মদানের কারনে অর্থাৎ প্রসুতিকালীন সময় স্তনের আকার বড় হয়ে যাওয়া এবং স্তনধারনের কারনে তা ভারী হয়ে যায় এবং ফল স্বরূপ স্তন ঢিলা হয়ে যেতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে সন্তানকে স্তন পান করালে স্তনের আকারে কোন প্রকার পরিবর্তন হয়না। একইসাথে উচ্চ প্রভাব ব্যয়াম যেমন দৌড়ানো, নাচ করা ইত্যাদির সময় যদি স্পোটস ব্রা কিংবা স্তনের পুর্ন অবলম্বনে সামর্থ্য ব্রা ব্যবহার না করা হয় তবে তা থেকে স্তনের ঝুলে যাওয়া সম্ভব!
উপপাদ্য/বিবেচ্য বিষয়ঃ
অনেক নারী চিন্তিত হন – সন্তানকে স্তনদানের সাথে স্তনের ঢিলা হয়ে যাবার সম্পর্ক আছে কিনা? কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে স্তনদানের সাথে স্তনের আকার এবং গঠনের পরিবর্তনের কোন প্রকার নেগেটিভ সম্পর্ক নেই। মাইয়োক্লিনিক ওয়েবসাইটের মতে প্রসুতিকালীন স্তন ঝুলার কারন হলো হঠাৎ স্তনের আকার পরিবর্তন এবং পরবতীতে তা আবার স্বল্প সময় ব্যবধানে কমে যাওয়া।
নিবারণ/সমাধানঃ
কিশোরী বয়সে স্তনের ঝুলে যাওয়া রোধে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন স্তনেরঅস্থিবন্ধনী প্রসারীত না হয় এবং স্তন চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট নাহয়। যেহেতু প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ধুমপান চামড়ার স্থিতিস্থপকতা দুর্বল করে দেয় তাই ধুমপায়ীর তুলনায় অধুমপায়ী নারীর স্তন শিথিলতার প্রবনতা কম। স্বাস্থ্যকর শাররীক ওজন রক্ষা করা এবং উচ্চ-প্রভাব ব্যয়াম এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনে পর্যাপ্ত স্তন সার্পোট স্তনের ঝুলে যাওয়া প্রতিহত করতে পারে। ‘মেডিসিন ইন স্পোর্টস এন্ড এক্সসেরসাইজ‘ জার্নাল এর জুলাই ২০১০ সংখ্যায় ছাপা এক প্রতিবেদনে বলা হয় – যে সকল স্পোর্টস ব্রা ক্রিয়াকালীন অধিক ওজনের স্তনকে সম্পুর্ন উত্তোলন এবং চেপে রাখতে সক্ষম তা নারীর অস্বস্তির সাথে সাথে স্তনের আকার/গঠনপরিবর্তন প্রতিহত করে।
সাবধানতাঃ
স্তনের আকার/গঠনে যেকোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন এবং স্তনবোঁটার স্থান, আকার কিংবা গঠন পরিবর্তন হয়তো অন্যকোন কঠিন সমস্যার পুর্বাবাশ হতে পারে। আপনার উচিত স্তনের মাসিক স্ব-পর্যবেক্ষন করা। যেকোন হঠাৎ পরিবর্তন লিপিবদ্ধ করুন। আপনার স্তনের আকার সম্পর্কে কোন প্রকার অস্বাভাবিকতা আঁচ করলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে অস্বস্তি করবেন না। কারন লজ্জার কারনে সমস্যা প্রকটতা পেতে পারে।
স্তন ক্যান্সার কি? কীভাবে বুঝবেন স্তন ক্যান্সার হয়েছে ॥ বাঁচতে হলে জানতে হবে
স্তন ক্যান্সার একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই এ
রোগ হতে পারে, তবে মহিলাদের মধ্যেই এর প্রবণতা বেশি দেখা যায়। স্তন
ক্যান্সার বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বসহ বেশিরভাগ অঞ্চলের নারীদের মধ্যে
রীতিমতো আতঙ্কের নাম। তবে আশার কথা হলো সঠিক সময়ে এর নির্নয়ে আমরা সহজেই এর
চিকিৎসা করতে পারি। আজ আমরা স্তন ক্যান্সার কি এবং এর চিকিৎসার কথা জানবো।
স্তন ক্যান্সার কি
স্তনের কিছু কোষ যখন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে তখন স্তন ক্যান্সার হতে দেখা যায়। অধিকাংশ মহিলাদের জন্য এই রোগ একটি আতঙ্কের কারণ।
স্তন ক্যান্সার হয়েছে কি করে বুঝবেন
স্তন ক্যান্সার হলে সাধারণত: নিচের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয় :
*স্তনে একটি পিন্ডের মত অনুভব হয়
*স্তনের বোঁটা থেকে রক্ত বের হয়
*স্তনের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন হয়
*স্তনের ত্বকে পরিবর্তন দেখা দেয়, যেমন-টোল পড়া
*স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে যায়
*স্তনের বোঁটার চামড়া উঠতে থাকে
*স্তনের ত্বক লালচে যেমন-কমলার খোসার মতো এবং গর্ত-গর্ত হয়ে যায়
কখন ডাক্তার দেখাবেন
নিচের কারণগুলো দেখা দেয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে :
*স্তনে নতুন এবং অস্বাভাবিক পিন্ড অনুভব করলে
*পরবর্তী মাসিক পার হয়ে গেলেও পিন্ড না গেলে
*স্তনের পিন্ড আরও বড় এবং শক্ত হলে
*স্তনের বোঁটা থেকে অনবরত রক্ত নির্গত হলে
*স্তনের ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিলে
*স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে গেলে
কোথায় চিকিৎসা করাবেন
*জেলা সদর হাসপাতাল
*মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
*বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
*বিশেষায়িত সরকারী/বেসরকারী হাসপাতাল
কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে
*মেমোগ্রাম (Mammogram) বা স্তনের এক্স-রে
*ব্রেস্ট আলট্রাসাউন্ড (Breast ultrasound)
*ব্রেস্ট ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমাজিং (Breast magnetic resonance imaging, (MRI))
*বায়োপসি (Biopsy)
*রক্তের পরীক্ষা
*বুকের এক্স-রে
*কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফী স্ক্যান (Computerized tomography (CT) scan)
*পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফী স্ক্যান (Positron emission tomography (PET) scan)
কি ধরণের চিকিৎসা আছে
স্তন ক্যান্সোরের চিকিৎসা নির্ভর করে স্তন ক্যান্সারের ধরণ, পর্যায় ক্যান্সারের কোষগুলো হরমোণ সংবেদনশীল কিনা তার উপর। অধিকাংশ মহিলারাই স্তন অপারেশনের পাশাপাশি অন্যান্য বাড়তি চিকিৎসাও গ্রহণ করে থাকেন। যেমন: কেমোথেরাপী,হরমোণ থেরাপী অথবা রশ্মি থেরাপী ।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন.১ . স্তন ক্যান্সার কেন হয় ?
উত্তর . স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠলে স্তন ক্যান্সার হয়।
প্রশ্ন .২ . কাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে ?
উত্তর . যাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে তারা হলেন :
*পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি
*৬০ বছর বয়সের বেশি মহিলাদের
*একটি স্তনে ক্যান্সার হলে অপরটিও আক্রান্ত হতে পারে
*মা, বোন অথবা মেয়ের স্তন ক্যান্সার থাকলে
*জীনগত (Genes) কারণে
*রশ্মির বিচ্ছুরণ থেকে (Radiation Exposure)
*অস্বাভাবিক মোটা হলে
*অল্প বয়সে মাসিক হলে
*বেশি বয়সে মনোপজ হলে (Menopause)
*বেশি বয়সে প্রথম বাচ্চা নিলে
*মহিলারা যারা হরমোন থেরাপী নেন
*মদ পান করলে
প্রশ্ন.৩.স্তন ক্যান্সারে কি ধরণের অপারেশন করার প্রয়োজন হয়?
উত্তর. স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য সাধারণত যে অপারেশনগুলোর করার প্রয়োজন হয়:
*ল্যাম্পপেকটমি (Lumpectomy)
*ম্যাসটেকটমি (Mastectomy)
*সেন্টিনাল নোড বায়োপসি (Sentinel node biopsy)
*অক্সিলারি লিম্ফ নোড ডিসেকশন (Axillary lymph node dissection)
স্তন সুগঠিত রাখতে চান? নিয়মিত স্তনের ব্যায়াম করেন তো?
স্তন-হাত, পায়ের মতোই একটি সাধারণ অঙ্গ। কিন্তু সুপ্রাচীনকাল থেকেই একে দেখা হয়েছে রক্ষণশীল দৃষ্টিকোণ থেকে। আর এ কারণেই স্তনকে ঘিরে রয়েছে নানান ভ্রান্ত ধারণা। যেমন, স্তনের আকার বৃদ্ধি নিয়ে। যদিও কোনোরকম ব্যায়াম স্তনের আয়তন বা আকৃতি পাল্টাতে পারে না, তবুও কিছু ব্যায়ামের সাহায্যে স্তনকে আরো দৃঢ় এবং পূর্ণস্ফীত করা যায়। স্তনের তলায় অবস্থিত পেক্টোরাল (পাঁজর সংলগ্ন) মাংস পেশিটিকে সবলতর করলে, এই অঙ্গটিকে অনেক বেশি স্ফীত করা যায়। ব্যায়াম আরম্ভ করার আগে দেহভঙ্গির ব্যাপারে সচেতন হোন। সামনে ঝুঁকে দাঁড়ালে স্তনের আকার শিথিল হয়ে যেতে পারে। পিঠ সোজা করে দাঁড়ান, বুক চিতিয়ে শুরু করুন ব্যায়াম।
১) আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাত দুটিকে সামনে ছড়িয়ে দিন এমনভাবে যাতে হাত দুটি একে অপরের চেয়ে ১০ সেমি দূরে থাকে। এবার হাত দুটি ওঠানামা করুন – যেন সাঁতার কাটছেন। এবাবে ১০ বার করুন।
২) এবার হাত দুটি বুকের কাছে এনে একসঙ্গে মুঠো করুন এবং একে অপরের দিকে চাপ দিন। মনে মনে ৫ গুনুন। তারপর ছেড়ে দিন। এভাবে ১০ বার করবেন।
৩) হাত দুটি বুকের কাছে এনে একটি হাত দিয়ে অপরটি ধরুন। এবার দুটি হাত দু দিকে টানুন। ৫ গুনুন। এভাবে ১০ বার করুন।
৪) হাত দুটি কাঁধ বরাবর দু দিকে ছড়িয়ে দিন। হাতের তালু দুটি নিচের দিকে রাখুন। এবার হাত দুটি কাঁধ বরাবর রেখে সামনে পিছনে করুন ২০ বার। এভাবে ১০ বার করুন।
৫) একবারে সোজা হয়ে দাঁড়ান। কান বরাবর হাত দুটি উপরে তুলুন। এবার হাত দুটি দিয়ে একটি ডাম্বেল ধরুন এবং কনুই ভাঁজ করে হাত দুটি পিছনে নামান, যাতে ডাম্বেলটি আপনার পিঠে স্পর্শ করে। এভাবে ১০ বার করুন।
৬) একটি বেঞ্চের উপর শুয়ে পড়ুন। পা দুটো ঝুলিয়ে দিন। দুটি হাতে দুটি ডাম্বেল নিন। হাত দুটি আস্তে আস্তে মাথার উপর তুলে পেটের কাছে নামিয়ে আনুন। আবার ধীরে ধীরে হাত তুলে মাথার উপর দিয়ে নিয়ে পিছনে ঝুলিয়ে দিন। এভাবে ১০ বার করুন।
হঠাৎ করেই স্তনে সমস্যা?
ব্রেস্টে লাম্প মানেই অনেকে মনে করেন নির্ঘাত ব্রেস্ট ক্যানসার হয়েছে। ভাবাটা অস্বাভাবিকও নয়। যে হারে ব্রেস্ট ক্যানসারের সমস্যা বাড়ছে নারীদের ভয় পাওয়ার কারণটা মোটেও হেলাফেলার কিছু নয়। তবে ব্রেস্টে লাম্প দেখা দিলেই যে মনে করবেন ক্যানসার হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। ব্রেস্টে লাম্প অনেকেই হঠাৎ আবিস্কার করেন। কিন্তু প্রশ্নটা হল লাম্প হয় কেন? এক এক বয়সে এক এক কারণে লাম্প হতে পারে। চলুন তাহলে ব্রেস্টে লাম্প হওয়ার কারণগুলো জেনে নিই।
১। বয়ঃসন্ধিতে স্তনে লাম্প ফাইব্রোঅ্যাডেনোমা হতে পারে। এটা নিয়ে চিন্তার বিশেষ কোন কারণ নেই। এই লাম্প নিজে নিজেই চলে যায়।
২। অল্পবয়স্ক মহিলারা যারা (ব্রেস্ট ফিড করাচ্ছেন) ব্রেস্ট অ্যাবসেস সাধারণত যন্ত্রণাদায়ক ও লাল হয়। এই সমস্যায় সার্জন দেখিয়ে কারণ জানা ও চিকিৎসা জরুরি। প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে লাম্প অনেক কিছুই হতে পারে। সিস্ট থেকে শুরু করে বিনাইন টিউমার কিংবা ক্যানসার। মেনোপজের পড়ে স্তনে লাম্প দেখা দিলে টেস্ট করা জরুরি। কারণ এর থেকে ক্যানসার হতে পারে। তবে লাম্প দেখলেই সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। ডায়াগনসিসের ফল যাই বের হোক না কেন আপনার সচেতন হওয়া উচিত।
৩। প্রথমেই বলবো, হাইপার হবেন না। খেয়াল করে দেখুন স্তনের আর কোথাও বা বগলে আর কোনও লাম্প হয়েছে কি না। আর্মপিট লাম্প সাধারণ লিম্ফ নোড হয়। ভালো করে দেখুন স্তনের চামড়া আর নিপল আন্ডারলায়িং লাম্পের সাথে জুড়ে আছে কি না। থাকলে চিন্তার বিষয়। লাম্প নরম হলে চিন্তার কিছু নেই। খুব শক্ত হলে ডাক্তার দেখান।
৪। পিরিয়ডের সময় অনেক নারীরই ব্রেস্টে ব্যথা হয়। এটা কিন্তু ফাইব্রোসিস্টিক ডিজিজ। সামান্য ট্রিটমেন্টেই ঠিক হয়ে যেতে পারে। লাম্প নিয়ে যদি কোন সন্দেহ হয়, তা হলে সার্জনের পরামর্শ নিন।
এবার আসা যাক ব্রেস্ট ক্যানসারের কথায়। সাধারণত কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর চিহ্নিত করা যায়।
– একটা ব্রেস্টে ক্যানসার হলে অন্য ব্রেস্টেও ক্যানসার হতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
– অতিরিক্তি ধূমপান করলে বা এলকোহল পান করলে ব্রেস্ট ক্যানসার হতে পারে।
– ওবিসিটিও কিন্তু ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার অন্যতম কারণ।
তবে বয়ঃসন্ধি থেকে যদি কেউ মোটা হতে শুরু করেন এবং ৪০-৫০ বছরেও মোটা থাকেন, তাদের পোস্ট মেনোপজাল ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি। তবে ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়া পর্যন্ত আর অপেক্ষা করার তো কোন মানে হয়না। তাই আজ থেকেই নিজেদের সচেতন করুন। কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন। হেলদি খাবার খান। ধূমপান ও অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। ওজন কমিয়ে ফেলুন। তবে কমিয়ে ফেলা যথেষ্ট নয় সেটাকে সঠিক ভাবে মেইনটেইন করতে হবে। মাঝে মাঝেই নিজেই নিজের স্তন পরিক্ষা করুন।
নারীদেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হল স্তন। সুস্থ দেহের পাশাপাশি সুন্দর স্তনেরও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে নারীরা নিজের দেহের প্রতি খুব কমই যত্ন নিতে পারেন। দেহকে সুস্থ রাখার সাথে সুগঠিত স্তন পেতে সঠিক ডায়েট, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, প্রচুর পানি করা, মাঝে মাঝে নিজেই নিজের স্তন চেক করা প্রয়োজন। কিন্তু অনেক নারীর ক্ষেত্রেই নিজের দেহের প্রতি অযত্নের কারণে দেখা দেয় নানা সমস্যা এবং সাথে স্তনের আকারও নষ্ট হয়ে থাকে। তাই জেনে রাখুন কিছু বিষয় যেই কারণে স্তনের আকার নষ্ট হয়।
ভুল সাইজের ব্রা পরা
স্তনের সাইজ অনুযায়ী যদি সঠিক মাপের ব্রা না পরা হয় তাহলে তা স্তনের আকার নষ্ট হওয়ার জন্য দায়ী। তাই ব্রা কেনার সময় অবশ্যই দেখেশুনে সঠিক মাপের ব্রা কেনা উচিৎ। আবার অন্যদিকে ১৫ বছরের একটি গবেষণার পর ২০১৩ তে প্রকাশ করা হয়, যে সকল নারীরা কখনোই ব্রা পরেন নি তাদের স্তন যারা সবসময় ব্রা পরছেন তাদের থেকেও সুগঠিত।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়া
সর্বদা সুস্থ থাকার মূল মন্ত্রই হল পানি। ঠিক মতো পানি পান না করলে যেমন ত্বকের লাবণ্যতা নষ্ট হয়ে যায় ঠিক একই ভাবে স্তনের আকারও নষ্ট হয়ে থাকে। তাই সুস্থ থাকতে ও সুগঠিত স্তন পেতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া উচিৎ নারীদের।
রোদের আলো থেকে স্তন রক্ষা না করা
আমরা জানি যে সূর্যের আলো আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এর থেকে বাঁচার উপায় হল সানস্ক্রিন। যদিও আমাদের দেশে নারীরা সানবাথ করেন না। কিন্তু তারপরেও অনেক নারীই খোলামেলা কাপড় পরে থাকেন। তাই অন্যান্য দেহের অন্যান্য অংশে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পাশাপাশি স্তনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
ধূমপান ত্যাগ করতে হবে
দীর্ঘ ৮ বছরের একটি গবেষণার পর বলা হয়েছে যে স্তনের আকার নষ্ট হওয়ার পিছনে ধূমপান করা অন্যতম কারণ। ধূমপানের ফলে নারীর স্তনের টানটান ভাব নষ্ট হয়ে যায় এবং যার কারণে স্তন সুগঠিত থাকে না।
অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা
আপনি যদি অতিরিক্ত ডায়েট করে থাকেন তাহলে তা স্তনের জন্য ক্ষতিকর। খুব বেশি ডায়েট করার জন্য দেহের চামড়ার সতেজ ভাব কমে যায় চামড়া ঝুলে পড়ে। এবং ওজন কমানোর পরে নারীদেহে সবার প্রথমে ওজন কমে স্তনের কারণ স্তনেই সবচেয়ে বেশি ফ্যাট থাকে।
স্তন ক্যান্সার কি
স্তনের কিছু কোষ যখন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে তখন স্তন ক্যান্সার হতে দেখা যায়। অধিকাংশ মহিলাদের জন্য এই রোগ একটি আতঙ্কের কারণ।
স্তন ক্যান্সার হয়েছে কি করে বুঝবেন
স্তন ক্যান্সার হলে সাধারণত: নিচের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয় :
*স্তনে একটি পিন্ডের মত অনুভব হয়
*স্তনের বোঁটা থেকে রক্ত বের হয়
*স্তনের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন হয়
*স্তনের ত্বকে পরিবর্তন দেখা দেয়, যেমন-টোল পড়া
*স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে যায়
*স্তনের বোঁটার চামড়া উঠতে থাকে
*স্তনের ত্বক লালচে যেমন-কমলার খোসার মতো এবং গর্ত-গর্ত হয়ে যায়
কখন ডাক্তার দেখাবেন
নিচের কারণগুলো দেখা দেয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে :
*স্তনে নতুন এবং অস্বাভাবিক পিন্ড অনুভব করলে
*পরবর্তী মাসিক পার হয়ে গেলেও পিন্ড না গেলে
*স্তনের পিন্ড আরও বড় এবং শক্ত হলে
*স্তনের বোঁটা থেকে অনবরত রক্ত নির্গত হলে
*স্তনের ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিলে
*স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে গেলে
কোথায় চিকিৎসা করাবেন
*জেলা সদর হাসপাতাল
*মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
*বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
*বিশেষায়িত সরকারী/বেসরকারী হাসপাতাল
কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে
*মেমোগ্রাম (Mammogram) বা স্তনের এক্স-রে
*ব্রেস্ট আলট্রাসাউন্ড (Breast ultrasound)
*ব্রেস্ট ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমাজিং (Breast magnetic resonance imaging, (MRI))
*বায়োপসি (Biopsy)
*রক্তের পরীক্ষা
*বুকের এক্স-রে
*কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফী স্ক্যান (Computerized tomography (CT) scan)
*পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফী স্ক্যান (Positron emission tomography (PET) scan)
কি ধরণের চিকিৎসা আছে
স্তন ক্যান্সোরের চিকিৎসা নির্ভর করে স্তন ক্যান্সারের ধরণ, পর্যায় ক্যান্সারের কোষগুলো হরমোণ সংবেদনশীল কিনা তার উপর। অধিকাংশ মহিলারাই স্তন অপারেশনের পাশাপাশি অন্যান্য বাড়তি চিকিৎসাও গ্রহণ করে থাকেন। যেমন: কেমোথেরাপী,হরমোণ থেরাপী অথবা রশ্মি থেরাপী ।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন.১ . স্তন ক্যান্সার কেন হয় ?
উত্তর . স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠলে স্তন ক্যান্সার হয়।
প্রশ্ন .২ . কাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে ?
উত্তর . যাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে তারা হলেন :
*পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি
*৬০ বছর বয়সের বেশি মহিলাদের
*একটি স্তনে ক্যান্সার হলে অপরটিও আক্রান্ত হতে পারে
*মা, বোন অথবা মেয়ের স্তন ক্যান্সার থাকলে
*জীনগত (Genes) কারণে
*রশ্মির বিচ্ছুরণ থেকে (Radiation Exposure)
*অস্বাভাবিক মোটা হলে
*অল্প বয়সে মাসিক হলে
*বেশি বয়সে মনোপজ হলে (Menopause)
*বেশি বয়সে প্রথম বাচ্চা নিলে
*মহিলারা যারা হরমোন থেরাপী নেন
*মদ পান করলে
প্রশ্ন.৩.স্তন ক্যান্সারে কি ধরণের অপারেশন করার প্রয়োজন হয়?
উত্তর. স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য সাধারণত যে অপারেশনগুলোর করার প্রয়োজন হয়:
*ল্যাম্পপেকটমি (Lumpectomy)
*ম্যাসটেকটমি (Mastectomy)
*সেন্টিনাল নোড বায়োপসি (Sentinel node biopsy)
*অক্সিলারি লিম্ফ নোড ডিসেকশন (Axillary lymph node dissection)
স্তন সুগঠিত রাখতে চান? নিয়মিত স্তনের ব্যায়াম করেন তো?
স্তন-হাত, পায়ের মতোই একটি সাধারণ অঙ্গ। কিন্তু সুপ্রাচীনকাল থেকেই একে দেখা হয়েছে রক্ষণশীল দৃষ্টিকোণ থেকে। আর এ কারণেই স্তনকে ঘিরে রয়েছে নানান ভ্রান্ত ধারণা। যেমন, স্তনের আকার বৃদ্ধি নিয়ে। যদিও কোনোরকম ব্যায়াম স্তনের আয়তন বা আকৃতি পাল্টাতে পারে না, তবুও কিছু ব্যায়ামের সাহায্যে স্তনকে আরো দৃঢ় এবং পূর্ণস্ফীত করা যায়। স্তনের তলায় অবস্থিত পেক্টোরাল (পাঁজর সংলগ্ন) মাংস পেশিটিকে সবলতর করলে, এই অঙ্গটিকে অনেক বেশি স্ফীত করা যায়। ব্যায়াম আরম্ভ করার আগে দেহভঙ্গির ব্যাপারে সচেতন হোন। সামনে ঝুঁকে দাঁড়ালে স্তনের আকার শিথিল হয়ে যেতে পারে। পিঠ সোজা করে দাঁড়ান, বুক চিতিয়ে শুরু করুন ব্যায়াম।
১) আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাত দুটিকে সামনে ছড়িয়ে দিন এমনভাবে যাতে হাত দুটি একে অপরের চেয়ে ১০ সেমি দূরে থাকে। এবার হাত দুটি ওঠানামা করুন – যেন সাঁতার কাটছেন। এবাবে ১০ বার করুন।
২) এবার হাত দুটি বুকের কাছে এনে একসঙ্গে মুঠো করুন এবং একে অপরের দিকে চাপ দিন। মনে মনে ৫ গুনুন। তারপর ছেড়ে দিন। এভাবে ১০ বার করবেন।
৩) হাত দুটি বুকের কাছে এনে একটি হাত দিয়ে অপরটি ধরুন। এবার দুটি হাত দু দিকে টানুন। ৫ গুনুন। এভাবে ১০ বার করুন।
৪) হাত দুটি কাঁধ বরাবর দু দিকে ছড়িয়ে দিন। হাতের তালু দুটি নিচের দিকে রাখুন। এবার হাত দুটি কাঁধ বরাবর রেখে সামনে পিছনে করুন ২০ বার। এভাবে ১০ বার করুন।
৫) একবারে সোজা হয়ে দাঁড়ান। কান বরাবর হাত দুটি উপরে তুলুন। এবার হাত দুটি দিয়ে একটি ডাম্বেল ধরুন এবং কনুই ভাঁজ করে হাত দুটি পিছনে নামান, যাতে ডাম্বেলটি আপনার পিঠে স্পর্শ করে। এভাবে ১০ বার করুন।
৬) একটি বেঞ্চের উপর শুয়ে পড়ুন। পা দুটো ঝুলিয়ে দিন। দুটি হাতে দুটি ডাম্বেল নিন। হাত দুটি আস্তে আস্তে মাথার উপর তুলে পেটের কাছে নামিয়ে আনুন। আবার ধীরে ধীরে হাত তুলে মাথার উপর দিয়ে নিয়ে পিছনে ঝুলিয়ে দিন। এভাবে ১০ বার করুন।
হঠাৎ করেই স্তনে সমস্যা?
ব্রেস্টে লাম্প মানেই অনেকে মনে করেন নির্ঘাত ব্রেস্ট ক্যানসার হয়েছে। ভাবাটা অস্বাভাবিকও নয়। যে হারে ব্রেস্ট ক্যানসারের সমস্যা বাড়ছে নারীদের ভয় পাওয়ার কারণটা মোটেও হেলাফেলার কিছু নয়। তবে ব্রেস্টে লাম্প দেখা দিলেই যে মনে করবেন ক্যানসার হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। ব্রেস্টে লাম্প অনেকেই হঠাৎ আবিস্কার করেন। কিন্তু প্রশ্নটা হল লাম্প হয় কেন? এক এক বয়সে এক এক কারণে লাম্প হতে পারে। চলুন তাহলে ব্রেস্টে লাম্প হওয়ার কারণগুলো জেনে নিই।
১। বয়ঃসন্ধিতে স্তনে লাম্প ফাইব্রোঅ্যাডেনোমা হতে পারে। এটা নিয়ে চিন্তার বিশেষ কোন কারণ নেই। এই লাম্প নিজে নিজেই চলে যায়।
২। অল্পবয়স্ক মহিলারা যারা (ব্রেস্ট ফিড করাচ্ছেন) ব্রেস্ট অ্যাবসেস সাধারণত যন্ত্রণাদায়ক ও লাল হয়। এই সমস্যায় সার্জন দেখিয়ে কারণ জানা ও চিকিৎসা জরুরি। প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে লাম্প অনেক কিছুই হতে পারে। সিস্ট থেকে শুরু করে বিনাইন টিউমার কিংবা ক্যানসার। মেনোপজের পড়ে স্তনে লাম্প দেখা দিলে টেস্ট করা জরুরি। কারণ এর থেকে ক্যানসার হতে পারে। তবে লাম্প দেখলেই সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। ডায়াগনসিসের ফল যাই বের হোক না কেন আপনার সচেতন হওয়া উচিত।
৩। প্রথমেই বলবো, হাইপার হবেন না। খেয়াল করে দেখুন স্তনের আর কোথাও বা বগলে আর কোনও লাম্প হয়েছে কি না। আর্মপিট লাম্প সাধারণ লিম্ফ নোড হয়। ভালো করে দেখুন স্তনের চামড়া আর নিপল আন্ডারলায়িং লাম্পের সাথে জুড়ে আছে কি না। থাকলে চিন্তার বিষয়। লাম্প নরম হলে চিন্তার কিছু নেই। খুব শক্ত হলে ডাক্তার দেখান।
৪। পিরিয়ডের সময় অনেক নারীরই ব্রেস্টে ব্যথা হয়। এটা কিন্তু ফাইব্রোসিস্টিক ডিজিজ। সামান্য ট্রিটমেন্টেই ঠিক হয়ে যেতে পারে। লাম্প নিয়ে যদি কোন সন্দেহ হয়, তা হলে সার্জনের পরামর্শ নিন।
এবার আসা যাক ব্রেস্ট ক্যানসারের কথায়। সাধারণত কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর চিহ্নিত করা যায়।
– একটা ব্রেস্টে ক্যানসার হলে অন্য ব্রেস্টেও ক্যানসার হতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
– অতিরিক্তি ধূমপান করলে বা এলকোহল পান করলে ব্রেস্ট ক্যানসার হতে পারে।
– ওবিসিটিও কিন্তু ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার অন্যতম কারণ।
তবে বয়ঃসন্ধি থেকে যদি কেউ মোটা হতে শুরু করেন এবং ৪০-৫০ বছরেও মোটা থাকেন, তাদের পোস্ট মেনোপজাল ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি। তবে ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়া পর্যন্ত আর অপেক্ষা করার তো কোন মানে হয়না। তাই আজ থেকেই নিজেদের সচেতন করুন। কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন। হেলদি খাবার খান। ধূমপান ও অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। ওজন কমিয়ে ফেলুন। তবে কমিয়ে ফেলা যথেষ্ট নয় সেটাকে সঠিক ভাবে মেইনটেইন করতে হবে। মাঝে মাঝেই নিজেই নিজের স্তন পরিক্ষা করুন।
নারীদেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হল স্তন। সুস্থ দেহের পাশাপাশি সুন্দর স্তনেরও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে নারীরা নিজের দেহের প্রতি খুব কমই যত্ন নিতে পারেন। দেহকে সুস্থ রাখার সাথে সুগঠিত স্তন পেতে সঠিক ডায়েট, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, প্রচুর পানি করা, মাঝে মাঝে নিজেই নিজের স্তন চেক করা প্রয়োজন। কিন্তু অনেক নারীর ক্ষেত্রেই নিজের দেহের প্রতি অযত্নের কারণে দেখা দেয় নানা সমস্যা এবং সাথে স্তনের আকারও নষ্ট হয়ে থাকে। তাই জেনে রাখুন কিছু বিষয় যেই কারণে স্তনের আকার নষ্ট হয়।
ভুল সাইজের ব্রা পরা
স্তনের সাইজ অনুযায়ী যদি সঠিক মাপের ব্রা না পরা হয় তাহলে তা স্তনের আকার নষ্ট হওয়ার জন্য দায়ী। তাই ব্রা কেনার সময় অবশ্যই দেখেশুনে সঠিক মাপের ব্রা কেনা উচিৎ। আবার অন্যদিকে ১৫ বছরের একটি গবেষণার পর ২০১৩ তে প্রকাশ করা হয়, যে সকল নারীরা কখনোই ব্রা পরেন নি তাদের স্তন যারা সবসময় ব্রা পরছেন তাদের থেকেও সুগঠিত।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়া
সর্বদা সুস্থ থাকার মূল মন্ত্রই হল পানি। ঠিক মতো পানি পান না করলে যেমন ত্বকের লাবণ্যতা নষ্ট হয়ে যায় ঠিক একই ভাবে স্তনের আকারও নষ্ট হয়ে থাকে। তাই সুস্থ থাকতে ও সুগঠিত স্তন পেতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া উচিৎ নারীদের।
রোদের আলো থেকে স্তন রক্ষা না করা
আমরা জানি যে সূর্যের আলো আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এর থেকে বাঁচার উপায় হল সানস্ক্রিন। যদিও আমাদের দেশে নারীরা সানবাথ করেন না। কিন্তু তারপরেও অনেক নারীই খোলামেলা কাপড় পরে থাকেন। তাই অন্যান্য দেহের অন্যান্য অংশে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পাশাপাশি স্তনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
ধূমপান ত্যাগ করতে হবে
দীর্ঘ ৮ বছরের একটি গবেষণার পর বলা হয়েছে যে স্তনের আকার নষ্ট হওয়ার পিছনে ধূমপান করা অন্যতম কারণ। ধূমপানের ফলে নারীর স্তনের টানটান ভাব নষ্ট হয়ে যায় এবং যার কারণে স্তন সুগঠিত থাকে না।
অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা
আপনি যদি অতিরিক্ত ডায়েট করে থাকেন তাহলে তা স্তনের জন্য ক্ষতিকর। খুব বেশি ডায়েট করার জন্য দেহের চামড়ার সতেজ ভাব কমে যায় চামড়া ঝুলে পড়ে। এবং ওজন কমানোর পরে নারীদেহে সবার প্রথমে ওজন কমে স্তনের কারণ স্তনেই সবচেয়ে বেশি ফ্যাট থাকে।
স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ সম্পর্কিত কিছু সতর্কবার্তা
বিয়ের আগে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন
সংক্রান্ত যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে থাকি আমরা, কিন্তু ভুলে যাই সব চেয়ে
প্রয়োজনীয় ব্যাপার স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ সংক্রান্ত ব্যাপার টি, আসুন
জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে জরুরী কিছু তথ্যঃ
স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া
উচিত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে
কিছু কথা জানা দরকার। প্রধানত ব্লাড গ্রুপ কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা
হল ABO system (A, B, AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve)
& Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ
হবে না নেগেটিভ হবে। তাহলে ব্লাড গ্রুপগুলো হলঃ A+ve, A-ve, B+ve, B-ve,
AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve.
জেনে নেয়া যাক, যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড কারো শরীরে দেওয়া হয় তাহলে কী হবে?
যখন কোনো Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে
Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারনত কিছু হবে না। কিন্তু
এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরী হবে যার ফলে যদি কখনো রোগী আবার
পজেটিভ ব্লাড নেয় তাহলে তার ব্লাড cell গুলো ভেঙ্গে যাবে, এর কারনে অনেক
সমস্যা হবে। যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে
মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO incompatibility.
স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ কী রকম হওয়া দরকার?
স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে
স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ হতে হবে। আর যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ
হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে।
তবে স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে কোনোভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ
নেগেটিভ হওয়া চলবে না। এক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে
তার স্বামীর ব্লাডগ্রুপ ও নেগেটিভ হতে হবে।
যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় আর স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে কী সমস্যা হবে?
রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না।
তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয় তাহলে ‘লিথাল জিন’ বা
‘মারন জিন’ নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা
জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়। যদি
স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারনত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ
হবে। যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাডগ্রুপের মা ধারন করবে পজেটিভ Fetus(ভ্রুন) তখন
সাধারনত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির
সময় পজেটিভ Fetus এর ব্লাড, placental barrier ভেধ করে এবং placental
displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে। মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময়
যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে Rh
এন্টিবডি তৈরী করবে। যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে, তখন যদি তার fetus
এর ব্লাডগ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয়। তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেই Rh এন্টিবডি
তৈরী হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেধ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে।
আর যখন fetus এর শরীরে Rh antibody ঢুকবে তখন fetal এর RBC এর সাথে
agglutination হবে, যার ফলে RBC ভেঙ্গে যাবে। একে মেডিকেল টার্ম এ “Rh
incompatibility” বলে।
শিশুদের সামনে ধূমপান ঠিক নয়!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যাঁরা পরোক্ষ ধূমপায়ী
অর্থাৎ যাঁরা ধূমপান করেন না, তবে ধূমপায়ীদের কাছাকাছি থাকেন তাঁরাও
বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়তে পারেন। এখন কেউ যদি শিশুদের সামনে
ধূমপান করে কোমলমতি শিশুরা নিজেরা ধূমপান না করেও অপরের করা ধূমপানের
মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বোল্ডস্কাই জানিয়েছে
শিশুদের সামনে ধূমপান করলে তাদের কী ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়।
প্রথম কারণ
পরোক্ষ ধূমপান শিশুদের নিউমোনিয়া এবং ব্রংকাইটিস তৈরি করতে পারে।
পরোক্ষ ধূমপান শিশুদের নিউমোনিয়া এবং ব্রংকাইটিস তৈরি করতে পারে।
দ্বিতীয় কারণ
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুদের সামনে ধূমপান করলে তাদের ফুসফুসের বৃদ্ধি ধীরগতির হয় এবং ফুসফুস ভীষণভাবে আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি কখনো কখনো ফুসফুসে ক্যানসারও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুদের সামনে ধূমপান করলে তাদের ফুসফুসের বৃদ্ধি ধীরগতির হয় এবং ফুসফুস ভীষণভাবে আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি কখনো কখনো ফুসফুসে ক্যানসারও হতে পারে।
তৃতীয় কারণ
অভিভাবকরা যদি ঘরে বা তার পাশে ধূমপান করেন, তাহলে শিশুদের কানেও সংক্রমণ হতে পারে।
অভিভাবকরা যদি ঘরে বা তার পাশে ধূমপান করেন, তাহলে শিশুদের কানেও সংক্রমণ হতে পারে।
চতুর্থ কারণ
কেবল শিশুর জন্মের পরই নয়, আগেও মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় এই পরোক্ষ ধূমপান ক্ষতির কারণ হতে পারে। পরোক্ষ ধূমপান শিশুর ভ্রূণের বৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কেবল শিশুর জন্মের পরই নয়, আগেও মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় এই পরোক্ষ ধূমপান ক্ষতির কারণ হতে পারে। পরোক্ষ ধূমপান শিশুর ভ্রূণের বৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
পঞ্চম কারণ
ধূমপায়ীদের সঙ্গে থাকলে শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে এবং কফের সমস্যা হয়।
ধূমপায়ীদের সঙ্গে থাকলে শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে এবং কফের সমস্যা হয়।
ষষ্ঠ কারণ
শিশুরা বড়দের দেখে শেখে। যখন আপনি তার সামনে ধূমপান করবেন, তখন সিগারেটের প্রতি তার আগ্রহ বাড়বে এবং শারীরিক ক্ষতির ভয় দূর হয়ে যাবে। এ কারণে একসময় সেও ধূমপায়ী হতে উঠতে পারে!
শিশুরা বড়দের দেখে শেখে। যখন আপনি তার সামনে ধূমপান করবেন, তখন সিগারেটের প্রতি তার আগ্রহ বাড়বে এবং শারীরিক ক্ষতির ভয় দূর হয়ে যাবে। এ কারণে একসময় সেও ধূমপায়ী হতে উঠতে পারে!
Subscribe to:
Posts (Atom)